Wednesday, September 11

বিএনপি নেতা আমানের হত্যা : হরতালসহ ১২ দিনের কর্মসূচি

সাতক্ষীরা: বাবার কবরের পাশে সারাদিন খেলা করে একমাত্র  মেয়ে নিশাত তাসনিম। মা জিঙ্গাসা করলে সে জানায়, আমি বাবার সাথে খেলা করছি। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্যজীবিদলের সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের বিচার ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনই তথ্য জানানো হয় সাংবাদিকদের। সাত সদস্য বিশিষ্ট শহীদ আমান হত্যা বিচার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আবু জাহিদ ডাবলু সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় নিহত আমানের একমাত্র মেয়ে শিশু নিশাত তাসনিম, আমানের শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ছাড়াও কমিটির সদস্য সচিব জেলা তৃণমূলদলের সভাপতি এস এম সালাউদ্দিন লিটন, বিএনপি নেতা এড.এখলেছার আলী বাচ্চু, মহম্মদ আলী, আসাদুর রহমান আসাদ, করিম সিরাজী,আব্দুর রাজ্জাক শিকদার, ফারুক হোসেন, শহিদুল্লাহ লিটন, মোস্তাক মহম্মদ, হাফিজুর রহমান মুকুল, আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু, নাসিরউদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত ০৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ চলাকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মৎস্যজীবিদলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে হত্যা করা হয়। জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশে যুবদল ও স্বেচ্ছা সেবকদলের নেতা আইনুল ইসলাম নান্টা, তরিকুল হাসান, কামরুজ্জামান কামু, এড. কামরুজ্জামান ভূট্রো, সোহেল আহম্মেদ মানিক, আবুল হাসান হাদী, মাসুম বিল্লাহ শাহীন, তাজুল ইসলাম রিপন, সালাউদ্দিন, মিলন শিকদার প্রমুখ নেতাসহ কিছু সংখ্যক উচ্ছৃংখল কর্মী হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি, চাইনিজ কুড়াল, রামদাসহ অন্যান্য আস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশে হামলা চালায়। এদের হামলার শিকার হয় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, মৎস্যজীবিদলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুস সামাদ, তৃণমূলদলের সেলিম, লিটনসহ ৮/১০ জন নেতা-কর্মী। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে মারাত্মক আহত আমানকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। ডাক্তারের পরামর্শে তাকে খুলনা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে আমানের মৃত্যু হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের কর্ম দক্ষতায় ইর্ষান্বিত হয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের প্রত্যক্ষ মদদে তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী তাকে হত্যা করেছে। দল থেকে এসব সন্ত্রাসীদের বহিস্কারের দাবী জানানো হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে। একই সাথে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। 
সংবাদ সম্মেলনে হত্যা বিচার বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় পুরাতন সাতক্ষীরায় মানববন্ধন, ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল চারটায় নিউমার্কেট চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকাল চারটায় ওই একই স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় একই স্থানে মানববন্ধন, ২১ সেপ্টেম্বর খুলনায় খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা মিছিল, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর সকল উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে গণসংযোগ, ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টায় নিউমার্কেট চত্ত্বর থেকে সুন্দরবন এর উদ্দেশ্যে রোড মার্চ এবং ০১ অক্টোবর সাতক্ষীরায় অর্ধ্বদিবস হরতাল পালন।  --ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়