রংপুর: রংপুরের বদরগঞ্জে পরকীয়ার বলি হয়েছেন তিন সন্তানের জননী। অসম প্রেমের কারণে তাকে জীবন দিতে হয়েছে। তবে প্রেমিক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের কোচপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, ওই এলাকার এক রেস্টুরেন্টমালিকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী কহিনুর বেগম (৩২) পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই এলাকার রজনী রায়ের ছেলে সুশান্ত রায়ের (২৬) সাথে। তারা এতটাই বেপরোয়া ছিলেন যে তাদের অবৈধ স¤পর্ক ছিল অনেকটা খোলামেলা। তাদের আÍহত্যার হুমকিতে পরিবার তো দূরের কথা এলাকার লোকজনও তাদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারত না। তবে স¤পর্ককে বৈধতা দিতে বেশ কিছুদিন থেকে কহিনুর বেগম প্রেমিক সুশান্ত রায়কে চাপ দিয়ে আসছিলেন। ফলে প্রায়ই তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হতো। আবার কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের স¤পর্কও স্বাভাবিক হতো।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কহিনুর বেগম সুশান্তকে আবারো বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে আবারো তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে তারা দু’জনই নিরুদ্দেশ হয়। এরপর বুধবার সকালে বাড়ি থেকে একটু দূরে রাস্তার পাশে কহিনুর বেগমকে মৃত অবস্থায় এবং সুশান্তকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকার লোকজন।প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, তারা একে অপরকে গভীরভাবে ভালোবাসত। এক সময় তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দু’জন দু’ধর্মের অনুসারী হওয়ায় বিয়েতে বাধার সৃষ্টি হয়। কহিনুর চেয়েছিলেন সুশান্ত রায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে বিয়ে করুক। তবে এতে রাজি ছিলেন না সুশান্ত। ফলে তাদের স¤পর্ককে স্মরণীয় করে রাখতে তারা দু’জনই হয়তো বিষপানে আত্মহত্যার চিন্তা করে। বাবা রজনী রায় কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, সুশান্ত প্রাণে বাঁচলেও তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। বদরগঞ্জ থানার ওসি নূরুজ্জামান চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়