Monday, September 30

কানাইঘাটে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ !! আহত ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ৫ই অক্টোবর বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সিলেটের সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে কানাইঘাট উপজেলা ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রচার সমাবেশের মঞ্চ দখল নিয়ে যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে  ছাত্রশিবিরের ব্যাপক সংঘর্ষে ১৫ জন আহত, মঞ্চ ও শতাধিক চেয়ার-টেবিল ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ ও গণমিছিল পন্ড হয়ে যায়। তবে জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী শো-ডাউনের মাধ্যমে দফায় দফায় কানাইঘাট বাজারে মিছিল করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে জেলা ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে প্রচার সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার পূর্ব নির্ধারিত উপজেলা ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে কানাইঘাট পূর্ব বাজারে বিকাল ২টায় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ চলাকালে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজ উদ্দিন সাজু ও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম শাহীনের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যায়। মঞ্চে উঠা ও পাল্টাপাল্টি স্লোগানকে কেন্দ্র করে যুবদল, ছাত্রদল ও শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয়দলের নেতাকর্মীরা মঞ্চের চেয়ার-টেবিল ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে শতাধিক চেয়ার, মূল মঞ্চ ঘুড়িয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে যুবদল, ছাত্রদল ও শিবিরের ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী রায়হান উদ্দিনকে সিলেট ওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ছাত্রদল নেতা আব্দুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহমান, ছাত্রদল কর্মী আজমল হোসেনসহ অন্যান্যরা চিকিৎসা নিয়েছেন। এক পর্যায়ে বাদ আছর ৫ অক্টোবরের সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা বাজারে কয়েক দফা মিছিল করে। এরপর আব্দুল কাহির চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একাংশ পূর্ব বাজারে সভা করে। বাজারে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিরাপদে অবস্থান করতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত যে, কানাইঘাটে ১৮ দলীয় পাল্টাপাল্টি কমিটি রয়েছে। এক কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন। এ জোটের সাথে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস ও ইসলামী ঐক্যজোট রয়েছে। আজকের সমাবেশে এ গ্রুপের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেনি। এদিকে  ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে হামলা, ভাঙ্গচুর ও আহতের ঘটনার সাথে চাকসুর আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন সমর্থিত জোটের কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ত নয়। তারপরও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা মামুন রশিদের বিরুদ্ধে কটাক্য করে স্লোগান, তার বিলবোর্ড ভাঙ্গচুর ও থানা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙ্গচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা ১৮ দলীয় জোটের সচিব মুফতি মাওলানা এবাদুর রহমান, পৌর জোটের আহবায়ক হাজী ইফজালুর রহমান ও পৌর সচিব কাউন্সিলার শরীফুল হক। 


শেয়ার করুন

3 comments:

  1. ফুকিং জামাত শিবির

    ReplyDelete
  2. alom gir @ জনাব আলমগীর সাহেব কমেন্ট করার আগে বুঝে শুনে করবেন । আপনার খেয়াল রাখা উচিত আপনি একটি পত্রিকায় কমেন্ট করছেন । এটা নিশ্চয় আপনার বেড রুম নয় নয়তো মানুষ মনে করবে আপনি কোন ঘরের ছেলে ।

    ReplyDelete
  3. মিঃ হেলাল আমি কুন ঘরের চেলে এই কথা টা জারজ জামাতিরা না বললে খুসি হব, আর ফাকিং জামাতিরে কিছু বলতে গেলে বুজা লাগে না, যেমন কুত্তারে উশটা মারতে কেউ বুজে মারে না টিক তেমন, বুজলেন??

    ReplyDelete

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়