Sunday, September 22

কর্মবিরতি চলছে ৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে


মহম্মদপুর (মাগুরা) : দুই দিন ধরে কর্মবিরতি চলছে ৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শনি ও রোববার এ দুই দিন ক্লাস নিচ্ছেন না এসব শিক্ষালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে আবার চলেও যাচ্ছে। অথচ শিক্ষা অফিসার এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। মাগুরার মহম্মদপুরের ৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই দিন ধরে ওই ধর্মঘট চলছে।

সুত্রমতে, বেতন বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষকদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীতকরণসহ ৭ দফা দাবিতে উপজেলার ৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি চলছে। জেলা শিক্ষক সমিতির আহূত ওই কর্মসূচি পালন করছেন মহম্মদপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যে কারণে দুই দিন ধরে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিচ্ছেন না শিক্ষকরা। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার ধোয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান হারুন বলেন, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদেরকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করেই শনিবার থেকে শিক্ষকরা ক্লাস করছেন না। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফা নার্গিস বলেন, ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা দুই দিন ধরে ক্লাস নিচ্ছি না।

একই দাবির কথা উল্লেখ করে মহম্মদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলীমুজ্জামান বলেন, জেলা শিক্ষক সমিতির আহ্বানে উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষকরা দুই দিন ধরে ৪ ঘন্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। রোববার বিকেলে এ বিষয়ে কেন্দ্রে আলোচনা হওয়ার কথা। সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না হলে সোমবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হতে পারে বলে তিনি জানান। উপজেলা শিক্ষক সমতিরি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবিরুল হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবং জেলা নেতৃবৃন্দের আহ্বানে দুই দিন ধরে উপজেরার ৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ন’টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আমি কর্মবিরতি কর্মসূচির বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে কর্মসূচি পালন করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ. এস. এম. সিরাজুদ্দৌহা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে খোঁজখবর নিয়ে রিপোর্ট প্রেরণ করতে বলেছি। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়