সাভার : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করে।তিনি বলেন, "নৌকা মার্কায় যখন মানুষ ভোট দেয়, তখন তারা কিছু পায়।"
রোববার বিকেলে সাভারের আশুলিয়া স্কুল ও কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সুধী ও নারী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা দিয়েছিলাম, সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। নৌকা মার্কায় দেশের জনগণ যখন ভোট দেয়, তখন তারা কিছু না কিছু পায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার চারাবাগের খেজুরবাগানে পোশাক কারখানার এক হাজার নারী শ্রমিকের জন্য ১২ তলাবিশিষ্ট একটি ডরমিটরি ভবন উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি দুই হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু আমি এটা বাতিল করে মালিকদের গণভবনে ডেকে সর্বনিম্ন মজুরি ৩ হাজার টাকা করার নির্দেশ দেই।"
গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি আরও বাড়াতে মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও এসময় জানান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনকালীন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শ্রমিকদের আবাসন সংকট নিরসনের অংশ হিসেবে দেশের প্রথম শ্রমিক কলোনি তৈরি করা হচ্ছে- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে মেহনতী মানুষের কথা ভাবে।"
বর্তমান সরকার নারী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, "যেসব শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যায় তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি তাদের বাবা-মা ও সন্তানদের জন্য আলাদ আলাদা আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে এর আগে অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী এতো টাকা দেয়নি।"
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে এখন তেঁতুল তত্ত্ব এসে গেছে। তা সমর্থন করছেন বিএনপি নেত্রী। তারা নারীদের ঘরে বসিয়ে রেখে তাদের স্বচ্ছলতার পথ বন্ধ করে দিতে চায়। তেঁতুল হুজুর যিনি ফতোয়া দিয়েছেন, তাকে বলতে চাই- ইসলাম ধর্মের প্রথম অনুসারী বিবি খাদিজা, জিহাদে শহীদ হয়েছেন বিবি সুমাইয়া। কাজেই ইসলামের নাম করে মেয়েদের লেখাপড়া ও কাজ বন্ধের চেষ্টা করবেন না। মেয়েরা কাজ করে আর্থিকভাবে বাঁচবে, স্বচ্ছল হবে সে ব্যবস্থা আমরা করব।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ইসলামের সিবচেয়ে বেশি খেদমত করে। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়। তারা অপবাদ দিচ্ছে শাপলা চত্বরে আড়াই হাজার লোক মারা গেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ করলে তা ৬১ জনে নেমে আসে। এর মধ্যেও অনেকের ঠিাকারা ভুয়া। তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। তারা কাবা শরীফ নিয়েও মিথ্যাচার করেছে।’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ধর্মের নাম নিয়ে যারা মিথ্যা কথা বলে তারা কিভাবে ধর্মের সেবা করবে? অথচ জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত কর্মীরা কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে। তারা বলে আমরা ক্ষমতায় থাকলে নাকি আযান বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে কি এখন আযান হয় না? জানাযা হয় না?’
পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নের মহাজোট সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রমিকদের উন্নয়ন ও সেবা করতে চাই। পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থার জন্যই হোস্টেল নির্মাণ করছি। শ্রমিকদের জন্য মালিকদের ডেকে নূন্যতম মজরি ৩ হাজর টাকা করতে আমি মালিকদের বাধ্য করেছি। ৩ বছর পার হওয়ায় আবারো মজরি বৃদ্ধি করতে নির্দেশ দিয়েছি। মহিলা শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে ছিন্নমূল লাখ লাখ পরিবারকে সাবলম্বী করা হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিয়েছি। অতীতে কোনো প্রধানমন্ত্রী তার তহবিল থেকে এমন কাজ করেনি। আমি বলেই আপনাদের জন্য এটা করতে পেরেছি।’
সমাবেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।---ডিনিউজ
রোববার বিকেলে সাভারের আশুলিয়া স্কুল ও কলেজ মাঠে আয়োজিত এক সুধী ও নারী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা দিয়েছিলাম, সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। নৌকা মার্কায় দেশের জনগণ যখন ভোট দেয়, তখন তারা কিছু না কিছু পায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার চারাবাগের খেজুরবাগানে পোশাক কারখানার এক হাজার নারী শ্রমিকের জন্য ১২ তলাবিশিষ্ট একটি ডরমিটরি ভবন উদ্বোধন করেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি দুই হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু আমি এটা বাতিল করে মালিকদের গণভবনে ডেকে সর্বনিম্ন মজুরি ৩ হাজার টাকা করার নির্দেশ দেই।"
গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি আরও বাড়াতে মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও এসময় জানান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনকালীন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শ্রমিকদের আবাসন সংকট নিরসনের অংশ হিসেবে দেশের প্রথম শ্রমিক কলোনি তৈরি করা হচ্ছে- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে মেহনতী মানুষের কথা ভাবে।"
বর্তমান সরকার নারী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন সহায়তার ব্যবস্থা করেছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, "যেসব শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মারা যায় তাদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি তাদের বাবা-মা ও সন্তানদের জন্য আলাদ আলাদা আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে এর আগে অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী এতো টাকা দেয়নি।"
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে এখন তেঁতুল তত্ত্ব এসে গেছে। তা সমর্থন করছেন বিএনপি নেত্রী। তারা নারীদের ঘরে বসিয়ে রেখে তাদের স্বচ্ছলতার পথ বন্ধ করে দিতে চায়। তেঁতুল হুজুর যিনি ফতোয়া দিয়েছেন, তাকে বলতে চাই- ইসলাম ধর্মের প্রথম অনুসারী বিবি খাদিজা, জিহাদে শহীদ হয়েছেন বিবি সুমাইয়া। কাজেই ইসলামের নাম করে মেয়েদের লেখাপড়া ও কাজ বন্ধের চেষ্টা করবেন না। মেয়েরা কাজ করে আর্থিকভাবে বাঁচবে, স্বচ্ছল হবে সে ব্যবস্থা আমরা করব।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ইসলামের সিবচেয়ে বেশি খেদমত করে। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়। তারা অপবাদ দিচ্ছে শাপলা চত্বরে আড়াই হাজার লোক মারা গেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ করলে তা ৬১ জনে নেমে আসে। এর মধ্যেও অনেকের ঠিাকারা ভুয়া। তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। তারা কাবা শরীফ নিয়েও মিথ্যাচার করেছে।’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ধর্মের নাম নিয়ে যারা মিথ্যা কথা বলে তারা কিভাবে ধর্মের সেবা করবে? অথচ জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজত কর্মীরা কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে। তারা বলে আমরা ক্ষমতায় থাকলে নাকি আযান বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে কি এখন আযান হয় না? জানাযা হয় না?’
পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নের মহাজোট সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রমিকদের উন্নয়ন ও সেবা করতে চাই। পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থার জন্যই হোস্টেল নির্মাণ করছি। শ্রমিকদের জন্য মালিকদের ডেকে নূন্যতম মজরি ৩ হাজর টাকা করতে আমি মালিকদের বাধ্য করেছি। ৩ বছর পার হওয়ায় আবারো মজরি বৃদ্ধি করতে নির্দেশ দিয়েছি। মহিলা শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে ছিন্নমূল লাখ লাখ পরিবারকে সাবলম্বী করা হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিয়েছি। অতীতে কোনো প্রধানমন্ত্রী তার তহবিল থেকে এমন কাজ করেনি। আমি বলেই আপনাদের জন্য এটা করতে পেরেছি।’
সমাবেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়