আগৈলঝাড়া (বরিশাল): হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন।মাদক ব্যবসায়ি ও মাদক সেবীদের পাষবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত গৌরনদী আল-আমিন টেকনিক্যাল কলেজের মেধাবী ছাত্র রাসেদ হাওলাদের হত্যার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হযেছে।
জানা গেছে, উপজেলার টরকী বন্দর ও পাশের মাদারীপুরের উপজেলা কালকিনির নতুন টরকীচর এলাকায় সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হত্যার প্রবিাদ ও খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয়রা হয়। বিক্ষোভ শেষে রমজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশ রমজানপুর ইউনিয়নের সদস্য কাওছার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন টিটু বেপারী, কামাল হাওলাদার, জামাল হোসেন খান, আব্দুল রশিদ মাস্টার, কাউম হাওলাদার, নুরুল ইসলাম বেপারী, নাসির উদ্দিন প্রমুখ। বক্তরা আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাসেদ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠিন আন্দোলনের হুমকি দেন।
উল্লেখ্য, গৌরনদীর টরকির চর ও পাশ্ববর্তি কালকিনির নুতন টরকীর চর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মাদক বিক্রি করে আসছিল টরকি বন্দরের মাদক ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও তার সহযোগীরা। তাদের প্রতিহত করতে লোকজন মাদক প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেন। ওই কামিটি গত ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার দিকে নুতন টরকীর চর (রমজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে) বসে মাদক ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে মারধর করে। এতে সোহেল ও তার সহযোগীরা প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। ওই ঘটনার কিছুক্ষন পর রাসেদ কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে টরকী বন্দর রায়পট্টি পৌঁছলে সোহেল রানা ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে রাসেদকে গুরুতরভাবে আহত করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রাসেদকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করে। রাশেদের শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হলে পরে তাকে ঢাকার মহাখালী আশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাশেদ মারা যায়। ওই ঘটনায় রাশেদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন বাদি হয়ে সোহেল রানা সহ ১১ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় হত্য মামলা দায়ের করেন্। মামলা দায়ের দুই দিন পরেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে না পারায় জনগন ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়