কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছয় মাসের সন্তান ছিনিয়ে নিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়ায় ক্ষোভে কীটণাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে গৃহবধূ শারমিন আক্তার(১৯)। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। শ্বাশুড়ি নুরজাহান ও ননদ সোনিয়ার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সে এ আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। প্রায় ২৫ ঘন্টা পর কলাপাড়া থানা পুলিশ ছিনিয়ে নেয়া সন্তান সাইফুল(৬মাস)কে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেও নির্যাতনকারী শ্বাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বর্তমানে গৃহবধূ শারমিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু শারমিন জানায়, গত বুধবার দুপুরে দুধ না কাওয়ায় শিশুপুত্র সাইফুলকে একটি চড় মারায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার কোল থেকে সন্তান ছিনিয়ে নেয় তার শ্বাশুড়ি ও ননদ। এসময় তাকে বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। অনেক কান্নাকাটি করেও তার সন্তানকে ফিরে না পাওয়ায় কলাপাড়া শহরে তার কোন স্বজন না থাকায় পাশ্ববর্তী আমতলী উপজেলায় তার এক পরিচিতের বাসায় রাতে আশ্রয় নেন। বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় শ্বশুড় বাড়ি এসে তার সস্তান ফেরত চাইলে তাকে ঘরে পর্যন্ত ঢুকতে দেয়নি। উল্টো ধাক্কাদিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় শ্বাশুড়ী।
তিনি আরও জানান, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে না পেরে তাই বাধ্য হয়ে ১০ টাকা দিয়ে ইঁদুর ওষুধ কিনে খেয়ে এ কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করেন। তার ঘরের পিছনে বসে এ ওষুধ খেলেও তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। এভাবে প্রায় দেড়ঘন্টা মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করার পর এক রিকশা চালক শারমিনকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে ছিনিয়ে নেয়া শিশু সাইফুলকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ না দেয়ায় কাউকে গ্রেফতার করেননি বলে তিনি জানান।
কলাপাড়ায় কর্মরত ওসিসি’র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা আঃ হাই সিদ্দিক জানান, তারা নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর সাথে কথা বলেছেন। এ ঘটনায় তাকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।---ডিনিউজ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু শারমিন জানায়, গত বুধবার দুপুরে দুধ না কাওয়ায় শিশুপুত্র সাইফুলকে একটি চড় মারায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার কোল থেকে সন্তান ছিনিয়ে নেয় তার শ্বাশুড়ি ও ননদ। এসময় তাকে বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। অনেক কান্নাকাটি করেও তার সন্তানকে ফিরে না পাওয়ায় কলাপাড়া শহরে তার কোন স্বজন না থাকায় পাশ্ববর্তী আমতলী উপজেলায় তার এক পরিচিতের বাসায় রাতে আশ্রয় নেন। বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় শ্বশুড় বাড়ি এসে তার সস্তান ফেরত চাইলে তাকে ঘরে পর্যন্ত ঢুকতে দেয়নি। উল্টো ধাক্কাদিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় শ্বাশুড়ী।
তিনি আরও জানান, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে না পেরে তাই বাধ্য হয়ে ১০ টাকা দিয়ে ইঁদুর ওষুধ কিনে খেয়ে এ কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করেন। তার ঘরের পিছনে বসে এ ওষুধ খেলেও তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। এভাবে প্রায় দেড়ঘন্টা মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করার পর এক রিকশা চালক শারমিনকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে ছিনিয়ে নেয়া শিশু সাইফুলকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ না দেয়ায় কাউকে গ্রেফতার করেননি বলে তিনি জানান।
কলাপাড়ায় কর্মরত ওসিসি’র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা আঃ হাই সিদ্দিক জানান, তারা নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর সাথে কথা বলেছেন। এ ঘটনায় তাকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়