আগৈলঝাড়া (বরিশাল): বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি নাম সর্বস্ব এনজিওর কর্মকর্তারা ১৫শ’ সদস্যর সঞ্চয় প্রায় ৪৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সদস্যদের হাতে জিম্মি। বিচারের দাবিতে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করেছে দু:স্থ নারী সদস্যরা।
জানা গেছে, নাম সর্বস্ব সেচ্ছাসেবি এনজিও আইএফডিসি (ইন্টিগ্রেটেড ভিলেজ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন) উপজেলার রাজিহার, বাকাল, গৈলা ও রতœপুর ইউনিয়নের দুস্থঃ মহিলাদের নিয়ে সমিতি গঠন করে ঋণ বিতরণ ও সঞ্চয় আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এই এনজিওটি গত এক বছর আগেও ল্যুথারান হেলথ কেয়ার নামে এলাকায় পরিচিত ছিল। ওই এনজিও সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৯৭টি সমিতি (দল) গঠন করে প্রায় ১ হাজার ৫শ সদস্য সংগ্রহ করে। তারা ওই সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা সঞ্চয় আদায় করে। এদিকে সঞ্চয়ের বিপরিতে সদস্যদের মধ্যে তাদের ঋণ বিতরণ করা আছে বলেও জানান।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই এনজিওর ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের সরকারি কোন অনুমতি বা অনুমোদন নেই। তা সত্বেও তারা আগৈলঝাড়া, গৌরনদীর টরকী, ঘোষেরহাট, কোটালীপাড়ার দিঘলিয়া, মাদারীপুর সদর ও রাজৈরে ব্রাঞ্চ নিয়ে এনজিও’র নামে চড়া হারে সুদের ব্যবসা করে আসছে। এনজিও’র আগৈলঝাড়া ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবুল হাসানাত জানান, তার বিরুদ্ধে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক নরমেনরিডিক্স গত ৫ সেপ্টেম্বর ভয়ভীতি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ জিম্মি করে রেখে স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগে আগৈলঝাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে ৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ ম্যানেজার আবুল হাসানাতকে আটক করে। এনজিও বিষয়ক হওয়ায় পুলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম তালুকদারকে বিষয়টি জানিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বলেন। এদিকে ম্যানেজার গ্রেফতারের দিন ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এনজিও’র সকল আদান প্রদান বন্ধ করে দেয় এনজিও কর্তপক্ষ। এসময় লোন না পেয়ে অনেক সদস্যই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে নির্বাহী পরিচালক ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য গতকাল বুধবার বিকেলে ইউএনও কার্যালয়ে বৈঠক হওয়ার নির্ধারিত তারিখ থাকায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবুল হাসানাত সমিতির সদস্যদের সংবাদ দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তরে জরো হয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে কথিত এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক নরমেনরিডিক্সকে সদস্যরা জিম্মি করে তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ম্যানেজার আবুল হাসনাত ও পরিচালক নরমেনরিডিক্স সদস্যদের টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে তাদের আপোষ- মিমাংসার বৈঠক চলছিল। উপজেলা এনজিও সমন্ময় পরিষদের সভাপতি জেমস রিপন বাড়ৈ জানান, ওই এনজিও তাদের সমিতির সদস্য নয়। তাই তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের জানা নেই। --ডিনিউজ
জানা গেছে, নাম সর্বস্ব সেচ্ছাসেবি এনজিও আইএফডিসি (ইন্টিগ্রেটেড ভিলেজ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন) উপজেলার রাজিহার, বাকাল, গৈলা ও রতœপুর ইউনিয়নের দুস্থঃ মহিলাদের নিয়ে সমিতি গঠন করে ঋণ বিতরণ ও সঞ্চয় আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এই এনজিওটি গত এক বছর আগেও ল্যুথারান হেলথ কেয়ার নামে এলাকায় পরিচিত ছিল। ওই এনজিও সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৯৭টি সমিতি (দল) গঠন করে প্রায় ১ হাজার ৫শ সদস্য সংগ্রহ করে। তারা ওই সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা সঞ্চয় আদায় করে। এদিকে সঞ্চয়ের বিপরিতে সদস্যদের মধ্যে তাদের ঋণ বিতরণ করা আছে বলেও জানান।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই এনজিওর ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের সরকারি কোন অনুমতি বা অনুমোদন নেই। তা সত্বেও তারা আগৈলঝাড়া, গৌরনদীর টরকী, ঘোষেরহাট, কোটালীপাড়ার দিঘলিয়া, মাদারীপুর সদর ও রাজৈরে ব্রাঞ্চ নিয়ে এনজিও’র নামে চড়া হারে সুদের ব্যবসা করে আসছে। এনজিও’র আগৈলঝাড়া ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবুল হাসানাত জানান, তার বিরুদ্ধে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক নরমেনরিডিক্স গত ৫ সেপ্টেম্বর ভয়ভীতি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ জিম্মি করে রেখে স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগে আগৈলঝাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে ৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ ম্যানেজার আবুল হাসানাতকে আটক করে। এনজিও বিষয়ক হওয়ায় পুলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম তালুকদারকে বিষয়টি জানিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য বলেন। এদিকে ম্যানেজার গ্রেফতারের দিন ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এনজিও’র সকল আদান প্রদান বন্ধ করে দেয় এনজিও কর্তপক্ষ। এসময় লোন না পেয়ে অনেক সদস্যই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে নির্বাহী পরিচালক ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য গতকাল বুধবার বিকেলে ইউএনও কার্যালয়ে বৈঠক হওয়ার নির্ধারিত তারিখ থাকায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবুল হাসানাত সমিতির সদস্যদের সংবাদ দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তরে জরো হয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে কথিত এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক নরমেনরিডিক্সকে সদস্যরা জিম্মি করে তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ম্যানেজার আবুল হাসনাত ও পরিচালক নরমেনরিডিক্স সদস্যদের টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে তাদের আপোষ- মিমাংসার বৈঠক চলছিল। উপজেলা এনজিও সমন্ময় পরিষদের সভাপতি জেমস রিপন বাড়ৈ জানান, ওই এনজিও তাদের সমিতির সদস্য নয়। তাই তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের জানা নেই। --ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়