রাজশাহী: রাজশাহী নগরীতে ছাত্রশিবির কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সাহেব বাজারের গণকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিবির ক্যাডাররা মূহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গেনেড নিক্ষেপ করে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে এঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অর্ধশত ছাত্রশিবির নেতাকর্মী চায়ের স্টলসহ আশে সাধারণ মানুষের মিশে গিয়ে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে একইসঙ্গে ‘নারায়ে তাকবির’ শ্লোগান দিয়ে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় শিবির ক্যাডাররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে মূহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে গণকপাড়া ও বাটার মোড় এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আতঙ্কে মানুষ দিকবেদিক ছোটাছুটি করে। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় দোকানপ্টা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এঘটনায় জানে আলম ও আব্দুল মজিদ নামের দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে।
মহানগর শিবিরের ভারপ্রাপ্ত অফিস সম্পাদক এমএ মালেক জানান, সংঘর্ষে তিনিসহ অন্তত ১৩ জন শিবির কর্মী আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি এই শিবির নেতা। তাদের নগরীর বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
নগরীর বোয়াালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, শিবিরকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ অন্তত ৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় শিবিরকর্মীদের ছোঁড়া ককটেলের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল জানে আলম ও জাহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর শিবিরকর্মীদের আটক করতে আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি চলছে বলেও জানান ওসি।---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়