Monday, September 23

ইবিতে উপাচার্যের অফিসে ছাত্রলীগের তালা


কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চাকরির দাবিতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অফিসকক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছে চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা এসব অফিসে তালা লাগিয়ে রাখে। পরে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ক্যাম্পাসে না থাকায় কোষাধ্যক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ১টার দিকে তালা খুলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চাকরির দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি হিটলার, যুগ্ম-সম্পাদক লেলিন, সদস্য জাপান, ছাত্রলীগ নেতা টিটু, কাশেম, বর্তমান বঙ্গবন্ধু হল সভাপতি সাইফুল, ছাত্রলীগ নেতা মিজুসহ কয়েকজন নেতাকর্মী।
এদিকে, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য অফিসে না থাকলেও তাদের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কোষাধ্যক্ষ এবং তার  অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায় দেড়ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা কোষাধ্যক্ষসহ প্রশাসন ভবনের বিভিন্ন অফিস থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে দেয়। এতে প্রশাসন ভবনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।
এ সময় ভাঙচুর আতঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গাড়ি দ্বিতীয় গেট দিয়ে দ্রুত ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী মধুপুর বাজারে অবস্থান নেয়। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে বাস-ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জরুরি কাজে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম সরকার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান দুইজনেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। ফলে দুপুর ১টার দিকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ক্যাম্পাসে ফিরলে বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিলে তালা খুলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের এই নেতাকর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে উপাচার্যকে বিভিন্নভাবে চাকরির জন্য চাপ দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও চাকরির দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি আটকিয়ে রাখে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম হোসেন খান বলেন, কিছু চাকরি প্রত্যাশী বহিরাগত ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এটা করেছে। সেখানে ছাত্রলীগের কেউ ছিলনা। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ক্যাম্পাসে না থাকায় আমি আন্দোলনকারীদের থেকে সময় নিয়েছি। পরে তারা আশ্বাস পেয়ে তালা খুলে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।----ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়