পাবনা: পাবনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪০ কোটি টাকার টেন্ডার ঘাপলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে অভিযোগ পাওয়া সত্বেও নির্বাহী প্রকৌশলী তরিঘরি করে দরপত্র অনুমোদন করে যাবতীয় টেন্ডার ডকুমেন্টসহ রাতেই ঢাকায় চলে যাওয়ায় ঠিকাদারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি পাবনায় টক অব দি টাউনে পরিনত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়া ঝাউদিয়া এলাকায় পদ্মা নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য পাউবো নদীতে জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা এবং নদীর সংরক্ষণের জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি গ্র“পে দরপত্র আহবান করে। এর মধ্যে ৪টি গ্র“প জিও টেক্সটাইল এবং ৩টি গ্র“প কন্ট্রাকশনের কাজ। মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ সময়। প্রায় ৩‘শ সিডিউল বিক্রি হলেও প্রতি গ্র“পে ৩টি করে মোট ২৭ টি দরপত্র জমা পড়ে। পাউবো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানসহ কতিপয় কর্মকর্তা ও পাবনার কিছু ঠিকাদার যোগসাজশ করে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে ঠিকাদারদের দরপত্র জমা দানে বাধা দেয়া হয়েছে বলে সাধারন ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছেন। কুষ্টিয়ার এএইচএস/এই জেবি এবং নাটোরের মেসার্স ইমদাদ হোসেনের দরপত্র ছিড়ে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। ফলে কিছু মনোনীত ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ দরপত্র দাখিল করতে পারেনি। পরে কুষ্টিয়ার এএইচএস/এ ই জেবি এবং নাটোরের মেসার্স ইমদাদ হোসেন এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এবং নির্বাহী প্রকৌশলী তা গ্রহণ করেন । কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী তরিঘরি করে দরপত্র অনুমোদন করাতে যাবতীয় টেন্ডার ডকুমেন্টসহ রাতেই ঢাকায় চলে যান।
পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার মোশারোফ হোসেন জানান, অনেক ঠিকাদার দরপত্র জমা দিতে পারেনি। তাদেরও দরপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, পাউবো কর্মকর্তারা আগে ভাগেই ঠিকাদার নির্বাচিত করে রাখার জন্য এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার বলেন, পাউবো কর্মকর্তারা এই প্রকল্প থেকে বিপুল অংকের টাকা ঘূষ দাবী করায় এর আগে দুই বার ঠিকাদাররা দরপত্র জমা দেয়নি। ফলে পর পর দু‘বার রি-টেন্ডার করতে হয়। এবার জিও ব্যাগ তৈরির কোম্পানী ‘ডারট‘ এবং পাবনার বেড়ার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি টাকা উৎকোচ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকা থেকে ঠিকাদার ডেকে এনে তাদের দিয়ে দরপত্র জমা দেন। কিন্তু অনেক ভাল ও প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ও কোম্পানীর ঠিকাদার দরপত্র জমা দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসের বাইরে কি হয়েছে আমরা বলতে পারবো না। তবে কিছু ঠিকাদার আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সে অভিযোগ গুলো সম্পর্কে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ৭টি গ্র“পে মোট ২৭ টি দরপত্র জমা পড়েছে। ---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়