ঢাকা: বিশ্বের সেরা হিসেবে বিবেচিত ইয়েল, ক্যামব্রিজ, এমআইটি এবং স্টানফোর্ডসহ ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটিই ভারতে ক্যাম্পাস খোলার সামান্যতম আগ্রহও দেখায়নি। ভারত সরকারের এ সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তন এবং দিল্লির পক্ষ থেকে এ সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভারতের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (এইচআরডি) সম্প্রতি ৪০০টি শীর্ষস্থানীয় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দ্বার উন্মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে এবং এ সব বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় কোম্পানি আইনের অধীনে দেশটিতে ক্যাম্পাস খুলতে পারবে বলে ঘোষণা করেছে।
নীতি পরিবর্তনের পর ভারতে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে এ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য ভারতীয় একটি দৈনিকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তাদের অনীহার কথা জানা যায়।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা বিষয়ক সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে বলেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার বদলে তাদের সহযোগিতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের এ সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের কোনো প্রভাব তাদের ওপর পড়বে না।
এদিকে, স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও একই ধরণের জবাব দিয়েছে। তারা আরো বলেছে, এ সংক্রান্ত ভারতীয় প্রস্তাব তারা ধর্তব্যের মধ্যেই আনবে না।
এ ছাড়া, ক্যামব্রিজের মতই বক্তব্য দিয়েছে এমআইটি। তারা বলেছে, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অশিংদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী তারা। ক্যালটেক বা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, তারা ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে না।
ভারতীয় দৈনিকটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার পর প্রায় একই রকম জবাব পাওয়া গেছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও। এ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমেরিকার জন হপকিন্স, কানাডার টরেন্টো, ব্রিটেনের ডিউক, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
ভারতের মাটিতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার বিষয়কে ভারতের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকারের ড্রিম প্রজেক্ট বা স্বপ্ন প্রকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশটির মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে গত আট/নয় বছর ধরে কাজ করলেও এখনো কোনো সাফল্যের দেখা পায়নি।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়