Thursday, September 19

শার্শায় আবাসিক হোটেল মধুমতি থেকে খদ্দেরসহ পতিতা আটক


বেনাপোল(যশোর):  শার্শার বাগআঁচড়ায় মিনি পতিতালয় খ্যাত আবাসিক হোটেল মধুমতি থেকে খদ্দেরসহ এক পতিতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। 
এলাকাবাসী জানান, শার্শার উলাশী গ্রামের বিএনপি নেতা পিন্টু গত ২বছর আগে বাগআঁচড়া বাজারে মধুমতি নামে এক আবাসিক হোটেল খোলে। কিছুদিনের মধ্যে হোটেলটি মিনি পতিতালয়ে পরিনত করে। পতিতাদের ভাড়া করে এনে দিনের পর দিন রেখে এলাকার পরিবেশ নস্ট করতে থাকে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এলাকার জনতা মিনি পতিতালয়ে হামলা চালিয়ে খদ্দেরসহ এক পতিতাকে আটক করতে পারলেও হোটেল মালিক পিন্টু ও আরো এক পতিতা পালিয়ে যায়। পরে, ধৃতদের বাগআঁচড়া পুলিশ ফাড়ীতে সোপর্দ করা হয়েছে। 
শার্শার রাড়িপুকুর গ্রামের শফিউল্লাহ জানান, দেহ ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবাদ করলে হোটেল মালিক পিন্টু আমাকে বৃহস্পতিবার সকালে হত্যার হুমকি দেয় । তাই এলাকাবাসীকে নিয়ে হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। 
এলাকাবাসী আরো জানান, গত ১বছর আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে এক পতিতাসহ ২খরিদ্দারকে আটক করে।
এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা শরিফূল ইসলাম জানান, প্রশাসনকে বারবার বলা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই জনতা নিজেরাই এ পদক্ষেপ নিল। 
বাগ আঁচড়া বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল জানান, বারবার নিষেধ করা সত্বেও গোপনে অবৈধ কর্মকান্ড ঘটানোর অপরাধে এর আগে হোটেলটিতে সিলগালা করা হয়েছিল। পরে অনেক অনুরোধের উপর তাকে হোটেলের ব্যবসা করতে দেওয়া হয়। তবে, এই নারী কেলেংকারী ঘটনায় তাকে আর ছাড় দেওয়া হবেনা।
বাগআঁচড়া ফাড়ী পুলিশের এস আই মতিয়ার রহমান জানান, বাগআঁচড়া বাজারে অবস্থিত মধুমতি  আবাসিক হোটেল থেকে স্থানীয় জনতা মনিরামপুরের সুচিত্র নামে এক পতিতাসহ উলাশী এলাকার দিপু নামের খরিদ্দারকে আটক করে আমাকে খবর দেয়। এ সময় আমি সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেখানে যায়। পরে সেখান থেকে তাদেরকে ফাড়ীতে নিয়ে আসার পর মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।--ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়