ঢাকা : কুটনীতিকরা দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে উদ্দোগ নিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন। সংলাপ নিয়ে এ পর্যন্ত সব কূটনৈতিক উদ্যোগই ব্যর্থ হচ্ছে।
সরকার ও বিরোধী দলকে এক টেবিলে বসাতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব ব্যর্থ কূটনৈতিক উদ্যোগ একদিকে যেমন আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত করেবে, তেমন বিদেশী যেসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা সময় তৎপরতা দেখিয়েছিলেন তারাও মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করবে। ফলে বন্ধুহীন রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে দেশ।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেছেন, তার দেশ বা দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যাপারে আর নাক গলাবে না। ড্যান মজীনার এ ধরনের বক্তব্য রাজনীতিকদের কেউ তার কথা শুনছেন এমন ইঙ্গিত বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, বড় দুই দলের অনড় এ অবস্থান সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠেই কেবল উত্তাপ ছড়াবে না, বরং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি ‘খামখেয়ালী একগুয়েমি’ রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত করবে। আর ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সফরকালে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি সরকার ও বিরোধীদলকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এছাড়াও মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজীনা অনেকবার সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
একাধিকবার সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকাস্থ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রদূতরা। নিজস্ব দেশের পক্ষ থেকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরোশিমা, কানাডার হাইকমিশনার হেদার ক্রুডেন, চীনের রাষ্ট্রদূত লী জুন, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।সংলাপের উদ্যোগ নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকার কূটনৈতিক কোরের ডিনের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের ১০টি মুসলিম দেশের কূটনীতিকরাও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক উদ্বেগ রয়েছে।বাংলাদেশের প্রতি তাদের সহানূভুতি ছাড়াও বিনিয়োগ আছে আমাদের দেশে।
সর্বশেষ ২৩ আগস্ট জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় আসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোনে আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের সুধীজনেরা এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলেই মনে করেছিলেন।
সাধারণ মানুষও জাতিসংঘ মহাসচিবের এ উদ্যোগে আশান্বিত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বার বার সংবিধান থেকে না নড়ার ঘোষণা সংলাপের পথ অনেকটাই অবরুদ্ধ করেছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আকবর আলি খান নত বলেন, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন আমরা দেশের নাগরিকরাও তেমনি সরকার ও বিরোধী দলকে পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু কোনোপক্ষই এ উদ্যোগ বা তাগিদের ভ্রুক্ষেপ করছে না।
তিনি বলেন, সরকারের মেয়াদ খুব দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। এখনই আলোচনার টেবিলে না বসলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আলোচনায় না বসে দু’পক্ষ তাদের অবস্থানে অটল থাকলে দেশ আরো সংকটে পড়বে।---ডিনিউজ
সরকার ও বিরোধী দলকে এক টেবিলে বসাতে এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব ব্যর্থ কূটনৈতিক উদ্যোগ একদিকে যেমন আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত করেবে, তেমন বিদেশী যেসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা সময় তৎপরতা দেখিয়েছিলেন তারাও মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করবে। ফলে বন্ধুহীন রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে দেশ।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেছেন, তার দেশ বা দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যাপারে আর নাক গলাবে না। ড্যান মজীনার এ ধরনের বক্তব্য রাজনীতিকদের কেউ তার কথা শুনছেন এমন ইঙ্গিত বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, বড় দুই দলের অনড় এ অবস্থান সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠেই কেবল উত্তাপ ছড়াবে না, বরং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি ‘খামখেয়ালী একগুয়েমি’ রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত করবে। আর ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সফরকালে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি সরকার ও বিরোধীদলকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এছাড়াও মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজীনা অনেকবার সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
একাধিকবার সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকাস্থ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রদূতরা। নিজস্ব দেশের পক্ষ থেকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরোশিমা, কানাডার হাইকমিশনার হেদার ক্রুডেন, চীনের রাষ্ট্রদূত লী জুন, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।সংলাপের উদ্যোগ নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকার কূটনৈতিক কোরের ডিনের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের ১০টি মুসলিম দেশের কূটনীতিকরাও।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক উদ্বেগ রয়েছে।বাংলাদেশের প্রতি তাদের সহানূভুতি ছাড়াও বিনিয়োগ আছে আমাদের দেশে।
সর্বশেষ ২৩ আগস্ট জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় আসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোনে আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের সুধীজনেরা এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলেই মনে করেছিলেন।
সাধারণ মানুষও জাতিসংঘ মহাসচিবের এ উদ্যোগে আশান্বিত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বার বার সংবিধান থেকে না নড়ার ঘোষণা সংলাপের পথ অনেকটাই অবরুদ্ধ করেছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আকবর আলি খান নত বলেন, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছেন আমরা দেশের নাগরিকরাও তেমনি সরকার ও বিরোধী দলকে পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু কোনোপক্ষই এ উদ্যোগ বা তাগিদের ভ্রুক্ষেপ করছে না।
তিনি বলেন, সরকারের মেয়াদ খুব দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। এখনই আলোচনার টেবিলে না বসলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আলোচনায় না বসে দু’পক্ষ তাদের অবস্থানে অটল থাকলে দেশ আরো সংকটে পড়বে।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়