মহম্মদপুর (মাগুরা) : সর্বাঙ্গে সবুজের আভা। কাটায় আচ্ছাদিত গোটা শরীর। বৈজ্ঞানিক নাম- সেরাস হিল্ডম্যানিয়্যানাস। অঞ্চলভেদে- হেজ ক্যাকটাস, অ্যান্ডেস অরগ্যান পাইপ, পারাভিয়ান অ্যাপল, স্পাইনি ট্রি ক্যাকটাস ইত্যাদি নামে পরিচিত। এটি ক্যাকটাস গোত্রের ক্যাকটইডিয়া উপগোত্রের সেরাস গণভুক্ত একটি কাটাযুক্ত উদ্ভিদ। এটি ‘কুইন অব দ্য নাইট’ নামে খ্যাত।
কুইন অব দ্য নাইট খ্যাত ক্যাকটাসে ফুলের দেখা মেলে অন্তত: ১৫ থেকে ২০ বছর পর। রোপণের পর দীর্ঘ বছর পর অপেক্ষা করতে হয় দুর্লভ ও অপরূপ ফুলের জন্য। ফুটলো ফুল বহূ প্রতিক্ষিত ক্যাকটাসে। রোপণের পর সুদীর্ঘ ২২ বছর যত্ন ও পরিচর্যায় গত রোববার রাতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ওহিদুর রশীদের বাড়িতে ওই ফুল ফোটে। ওই রাতে একে একে ৪টি ফুল ফোটে, যা বিরল। এ প্রসঙ্গে ওহিদুর রশীদ বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর আগে রোপন করেছিলাম ওই ক্যাকটাস। প্রায় দু’যুগ পর ফুল ফুটলো।
উৎপত্তিগতভাবে উদ্ভিদটি ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ যেমন- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে প্রভৃতি দেশের আদি বাসিন্দা। কলামনার এ ক্যাকটাসটি অতি ধীরে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। লম্বায় এটি ৩০ ফুট বা ৯ মিটার পর্যন্ত হয়। গোড়া থেকেই শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয় এবং ধীরে ধীরে ঝাড়ে রুপান্তরিত হয়। এর একটি ঝাড় ১৫ ফুট বা ৪.৫ মিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। ছোট অবস্থায এর কান্ডের রঙ নীলাভ সবুজ থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কালচে সবুজ রঙ ধারণ করে। এক একটি শাখা ৪-৮ইঞ্চি অন্তর দূরত্বে দু’টি ভাগ হয়ে বাড়তে থাকে। অল্প বয়সী গাছের কচি কান্ডে কোনো কাঁটা থাকে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কান্ডে কাঁটার সংখ্যা বাড়তে থাকে । এর ফুল আকারে বড় হয় (লম্বায় ১০-১২ ইঞ্চি এবং ব্যাস ৬ ইঞ্চি)। ফুলের রং সাদা। ফুল ফোটে রাতে। দিনে পাপড়িগুলো দরজা আটকে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় সৌন্ধর্যের দ্বার।
গ্রীক শব্দ “ক্যাকসে” থেকে ক্যাকটাসের নামকরণ হয়েছে। ‘ক্যাকসে’ শব্দের অর্থ কাঁটায় পরিপূর্ণ। ক্যাকটাসের আদি অবস্থান মেক্সিকোতে। ক্যকটাস আর কিছুই না-ফণীমনসা জাতীয় গাছ। ইহা পর্ণকান্ডে রূপান্তরিত হয়ে পাতা ও কান্ডে পানি সঞ্চয়ের কাজ করে থাকে। এদের ডালে পানি ধরে রাখার নিজস্ব ক্ষমতা আছে বলে ক্যাকটাস মরু এলাকায় ভালো জন্মে। এগুলো দেখতে পশমের কুশনের মতো, ওপরে শুঁয়া থাকে এবং এর ওপরে ফুল ফোটে। ক্যাকটাসের ফুলের শোভা অতুলনীয়।
বর্তমানে ফুলের জন্য ও বাগানে কৃত্রিম পাহাড়ের শোভা বৃদ্ধির জন্য এবং ঘরের বারান্দা, ছাদ, সিঁড়ি ও বাগানের রাস্তার দু’পাশ শোভিত করার জন্য ক্যাকটাসের চাষ করা হয়।
এদের উপযোগী জলবায়ু হচ্ছে উষ্ণ, শুস্ক এবং বেলে মাটি। মাটিতে যেনো পানি জমে না থাকে এবং প্রয়োজন মতো পানি সরবরাহ করা যাবে, এদু’টি বিষয় নিশ্চিত করলে ক্যাকটাসের চাষ করা অনেক সহজ হবে।
কিছু কিছু জাতের ক্যাকটাসের কান্ড ও শাখা টুকরো-মাটিতে পুঁতে রাখালে নতুন চারা গঁজায়।--এস আর এ হান্নান(ডিনিউজ)
কুইন অব দ্য নাইট খ্যাত ক্যাকটাসে ফুলের দেখা মেলে অন্তত: ১৫ থেকে ২০ বছর পর। রোপণের পর দীর্ঘ বছর পর অপেক্ষা করতে হয় দুর্লভ ও অপরূপ ফুলের জন্য। ফুটলো ফুল বহূ প্রতিক্ষিত ক্যাকটাসে। রোপণের পর সুদীর্ঘ ২২ বছর যত্ন ও পরিচর্যায় গত রোববার রাতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ওহিদুর রশীদের বাড়িতে ওই ফুল ফোটে। ওই রাতে একে একে ৪টি ফুল ফোটে, যা বিরল। এ প্রসঙ্গে ওহিদুর রশীদ বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর আগে রোপন করেছিলাম ওই ক্যাকটাস। প্রায় দু’যুগ পর ফুল ফুটলো।
উৎপত্তিগতভাবে উদ্ভিদটি ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ যেমন- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে প্রভৃতি দেশের আদি বাসিন্দা। কলামনার এ ক্যাকটাসটি অতি ধীরে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। লম্বায় এটি ৩০ ফুট বা ৯ মিটার পর্যন্ত হয়। গোড়া থেকেই শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয় এবং ধীরে ধীরে ঝাড়ে রুপান্তরিত হয়। এর একটি ঝাড় ১৫ ফুট বা ৪.৫ মিটার ব্যাসের হয়ে থাকে। ছোট অবস্থায এর কান্ডের রঙ নীলাভ সবুজ থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কালচে সবুজ রঙ ধারণ করে। এক একটি শাখা ৪-৮ইঞ্চি অন্তর দূরত্বে দু’টি ভাগ হয়ে বাড়তে থাকে। অল্প বয়সী গাছের কচি কান্ডে কোনো কাঁটা থাকে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কান্ডে কাঁটার সংখ্যা বাড়তে থাকে । এর ফুল আকারে বড় হয় (লম্বায় ১০-১২ ইঞ্চি এবং ব্যাস ৬ ইঞ্চি)। ফুলের রং সাদা। ফুল ফোটে রাতে। দিনে পাপড়িগুলো দরজা আটকে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় সৌন্ধর্যের দ্বার।
গ্রীক শব্দ “ক্যাকসে” থেকে ক্যাকটাসের নামকরণ হয়েছে। ‘ক্যাকসে’ শব্দের অর্থ কাঁটায় পরিপূর্ণ। ক্যাকটাসের আদি অবস্থান মেক্সিকোতে। ক্যকটাস আর কিছুই না-ফণীমনসা জাতীয় গাছ। ইহা পর্ণকান্ডে রূপান্তরিত হয়ে পাতা ও কান্ডে পানি সঞ্চয়ের কাজ করে থাকে। এদের ডালে পানি ধরে রাখার নিজস্ব ক্ষমতা আছে বলে ক্যাকটাস মরু এলাকায় ভালো জন্মে। এগুলো দেখতে পশমের কুশনের মতো, ওপরে শুঁয়া থাকে এবং এর ওপরে ফুল ফোটে। ক্যাকটাসের ফুলের শোভা অতুলনীয়।
বর্তমানে ফুলের জন্য ও বাগানে কৃত্রিম পাহাড়ের শোভা বৃদ্ধির জন্য এবং ঘরের বারান্দা, ছাদ, সিঁড়ি ও বাগানের রাস্তার দু’পাশ শোভিত করার জন্য ক্যাকটাসের চাষ করা হয়।
এদের উপযোগী জলবায়ু হচ্ছে উষ্ণ, শুস্ক এবং বেলে মাটি। মাটিতে যেনো পানি জমে না থাকে এবং প্রয়োজন মতো পানি সরবরাহ করা যাবে, এদু’টি বিষয় নিশ্চিত করলে ক্যাকটাসের চাষ করা অনেক সহজ হবে।
কিছু কিছু জাতের ক্যাকটাসের কান্ড ও শাখা টুকরো-মাটিতে পুঁতে রাখালে নতুন চারা গঁজায়।--এস আর এ হান্নান(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়