দাকোপ(খুলনা): দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা মহামূল্যবান সুন্দরবন আজ নানা কারণে ধ্বংসের পথে। এক শ্রেণীর অসাধু বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বনের মূল্যবান সম্পদ। ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বনভূমি, সেই সাথে নির্দয়ভাবে চলছে প্রাণীকুল ও মৎস্য সম্পদ নিধন। সচেতন মহলের অভিমত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন সচেতন মহল ।
সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে দেশের সম্পদ রক্ষার পবিত্র শপথ নিয়ে চাকুরীতে যোগদান, কিন্তু অবৈধ অর্থের লোভে বনরক্ষীরা সেই দায়িত্ববোধ নিমিষেই যেন ভূলে যায়। বরং বনের হিংস্র প্রানী রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিজেদের অভয় অরন্য বাঁচিয়ে রাখতে সারাক্ষন অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাবাসী এবং পেশাজীবিদের অনেকেই মনে করেন সুন্দরবনে বাঘের অবাধ বিচারন না থাকলে অনেক আগেই এ বনের অস্তিত্ব সংকটে পড়তো। দেশের উপকুলীয় অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ পূর্ব পুরুষের আমল থেকে এ বনের উপর নির্ভরশীল হয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে, অপরদিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক সপ্তাচার্য নির্বাচনে সুন্দরবন পৃথিবীর বুকে স্থান করে নেয়ায় এ বনের গুরুত্বও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। আর এ ঘটনার মধ্যদিয়ে বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জল হয়ে উঠেছে, তেমনি পর্যটন শিল্পে একটি অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখা এখন সকলের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু বনকর্মকর্তাদের সহায়তায় চোরাকারবারীরা নির্বিচারে অবাধে ধ্বংস করে চলেছে বনের মূল্যবান সম্পদ। সূত্র মতে, সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের অধীন অধিকাংশ ষ্টেশন ও টহলফাড়ীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারিরা বর্তমানে এই পাচার প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত। একদিকে যেমন কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী, পশুর, কাকড়া, গরান, বাইন, কেওড়াসহ সকল প্রকার কাঠ পাচার চলছে, তেমনি বন অভ্যন্তরে নদ-নদীতে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হাজার প্রজাতীর মৎস্য সম্পদ নির্বিচারে মারা হচ্ছে। আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে চোরা শিকারী চক্র নির্দয়ভাবে নিধন করছে বনের মায়াবী হরিনসহ মুল্যবান প্রানীকুল। সদ্য শেষ হওয়া গোলপাতা মৌসুমে বনরক্ষিদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় অবাধে কাঠ পাচার হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধীক সূত্রে জানা যায়। সূত্র মতে, পারমিটধারী প্রতিটি নৌকায় গোলের মধ্যে মূল্যবান সুন্দরী ও পশুর কাঠ পাচার হয়েছে। একই সাথে গোলপাতা কাটার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেন্টার মারার (চারাগাছ কাটার) ঘটনা নির্বিঘ্নে ঘটেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে দায়িত্বশীল বনরক্ষিরা এই কাজে সহায়তা করেছে বলে জানা যায়। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের অধীন নলিয়ান রেঞ্জ অফিস, কালাবগী ষ্টেশন, সুতারখালী ষ্টেশন, হড্ডা, শিপসা, শরবতখালী, কৈলাশগঞ্জ টহলফাড়ীর কর্মকর্তারা এই অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানা যায়। জানা যায়, দাকোপ উপজেলা সদরে অবস্থানকারী একটি বিশেষ পেশার জনৈক ব্যক্তি সকল বিষয় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে মাসিক চুক্তিতে মাসোয়ারা গ্রহন করে বনরক্ষিদের সকল অনৈতিক কাজে সহায়তা করে আসছে। সর্বশেষ গত ২১ জুন শিপসা টহল ফাড়ীর অদুরে নলিয়ান রেঞ্জ অফিস এক অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩০ পিচ সুন্দরী গাছ উর্দ্ধার দেখায় এবং গত ১২ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নলিয়ান রেঞ্জাধীন কালাবগী ষ্টেশন কর্মকর্তা হালিম হাওলাদার এবং নলিয়ান ষ্টেশন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বনরক্ষিরা যৌথভাবে কালাবগী শিপসা নদীর মোহনায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হরিণের মাংসসহ ৩টি বিদেশী বন্দুক, ৫৩ রাউন্ড গুলি, ১ টি ট্রলারসহ ৭ জনকে আটক করে। এছাড়া গত জুন মাসে পূর্ব বনভিভাগের কর্মকর্তারা জোংড়া টহলফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকজন জেলেকে জাল, নৌকা ও বিষসহ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে । এ ব্যাপারে নলিয়ান রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তৌফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত পরশুদিন অভিযানে জ্বালানীসহ ৪২ সেএফটি কাঠ ও একটি নৌকা আটক করে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ ব্যক্তির সাথে সখ্যতার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন এমন কারো সাথে আমার সম্পর্ক নেই। এদিকে, উপকুলীয় দাকোপ এলাকার সকল প্রতিষ্ঠিত মোকামে এখন প্রকাশ্যে অবৈধ বনজ সম্পদ বিক্রি হতে দেখা যায়। চোরাকারবারীদের হাত বদলের মাধ্যমে শহর অঞ্চলে প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে থাকে বলে সুত্রে জানা যায়। মাঝে মধ্যে বনবিভাগের উর্ধ্বধতন কর্মকর্তা এবং কোষ্টগার্ডের সদস্যরা পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কাঠ উর্দ্ধার করলেও পরিচালিত ব্যবসা বন্ধ করার জন্য সেটা যথেষ্ঠ নয় বলে মনে করা হয়। অপরদিকে, বর্তমানে বনের অভ্যন্তরে নিজেদের অভয়ারন্য কমে যাওয়া এবং নানা কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ভয়ংকর রয়েল বেঙ্গল টাইগার ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে সম্প্রতিকালে সুন্দরবনে অতিমাত্রায় বাঘের আক্রমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্র মতে, বাঘের কবলে পড়ে নিহত হওয়া অধিকাংশরা চোরাকারবারী। কিন্তু সরকারের সহানুভুতি আদায়ের লক্ষ্যে মারা যাওয়ার পর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের সহায়তায় বৈধ পারমিট ধারীর আওতায় আনা হয়। অন্যদিকে, সুন্দরবনের উপর পেশাজীবিদের চাপ কমাতে একাধীক বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প জীবিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু অদ্যবধী সেটি তেমন ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বাগেরহাট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ আমির হোসাইনের নিকট জানতে চাইলে বিষ প্রয়োগের কথা স্বাীকার করে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্ঠা করছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও নিচ্ছি। গত ২দিনে আমরা বিষসহ ৭জন জেলেকে আটক করেছি। এর মধ্যে ৪ জনকে বাগেরহাট ও খুলনা কোর্টে চালান দিয়েছি। উপকুলিয় অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের উৎস্য দেশের অপার সম্ভাবনাময় সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে মনে করছেন সচেতন মহল।--ডিনিউজ
সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে দেশের সম্পদ রক্ষার পবিত্র শপথ নিয়ে চাকুরীতে যোগদান, কিন্তু অবৈধ অর্থের লোভে বনরক্ষীরা সেই দায়িত্ববোধ নিমিষেই যেন ভূলে যায়। বরং বনের হিংস্র প্রানী রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিজেদের অভয় অরন্য বাঁচিয়ে রাখতে সারাক্ষন অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাবাসী এবং পেশাজীবিদের অনেকেই মনে করেন সুন্দরবনে বাঘের অবাধ বিচারন না থাকলে অনেক আগেই এ বনের অস্তিত্ব সংকটে পড়তো। দেশের উপকুলীয় অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ পূর্ব পুরুষের আমল থেকে এ বনের উপর নির্ভরশীল হয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে, অপরদিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক সপ্তাচার্য নির্বাচনে সুন্দরবন পৃথিবীর বুকে স্থান করে নেয়ায় এ বনের গুরুত্বও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। আর এ ঘটনার মধ্যদিয়ে বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জল হয়ে উঠেছে, তেমনি পর্যটন শিল্পে একটি অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখা এখন সকলের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু বনকর্মকর্তাদের সহায়তায় চোরাকারবারীরা নির্বিচারে অবাধে ধ্বংস করে চলেছে বনের মূল্যবান সম্পদ। সূত্র মতে, সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের অধীন অধিকাংশ ষ্টেশন ও টহলফাড়ীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্মচারিরা বর্তমানে এই পাচার প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত। একদিকে যেমন কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী, পশুর, কাকড়া, গরান, বাইন, কেওড়াসহ সকল প্রকার কাঠ পাচার চলছে, তেমনি বন অভ্যন্তরে নদ-নদীতে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হাজার প্রজাতীর মৎস্য সম্পদ নির্বিচারে মারা হচ্ছে। আর এর সাথে পাল্লা দিয়ে চোরা শিকারী চক্র নির্দয়ভাবে নিধন করছে বনের মায়াবী হরিনসহ মুল্যবান প্রানীকুল। সদ্য শেষ হওয়া গোলপাতা মৌসুমে বনরক্ষিদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় অবাধে কাঠ পাচার হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধীক সূত্রে জানা যায়। সূত্র মতে, পারমিটধারী প্রতিটি নৌকায় গোলের মধ্যে মূল্যবান সুন্দরী ও পশুর কাঠ পাচার হয়েছে। একই সাথে গোলপাতা কাটার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেন্টার মারার (চারাগাছ কাটার) ঘটনা নির্বিঘ্নে ঘটেছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে দায়িত্বশীল বনরক্ষিরা এই কাজে সহায়তা করেছে বলে জানা যায়। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের অধীন নলিয়ান রেঞ্জ অফিস, কালাবগী ষ্টেশন, সুতারখালী ষ্টেশন, হড্ডা, শিপসা, শরবতখালী, কৈলাশগঞ্জ টহলফাড়ীর কর্মকর্তারা এই অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানা যায়। জানা যায়, দাকোপ উপজেলা সদরে অবস্থানকারী একটি বিশেষ পেশার জনৈক ব্যক্তি সকল বিষয় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে মাসিক চুক্তিতে মাসোয়ারা গ্রহন করে বনরক্ষিদের সকল অনৈতিক কাজে সহায়তা করে আসছে। সর্বশেষ গত ২১ জুন শিপসা টহল ফাড়ীর অদুরে নলিয়ান রেঞ্জ অফিস এক অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩০ পিচ সুন্দরী গাছ উর্দ্ধার দেখায় এবং গত ১২ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নলিয়ান রেঞ্জাধীন কালাবগী ষ্টেশন কর্মকর্তা হালিম হাওলাদার এবং নলিয়ান ষ্টেশন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বনরক্ষিরা যৌথভাবে কালাবগী শিপসা নদীর মোহনায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হরিণের মাংসসহ ৩টি বিদেশী বন্দুক, ৫৩ রাউন্ড গুলি, ১ টি ট্রলারসহ ৭ জনকে আটক করে। এছাড়া গত জুন মাসে পূর্ব বনভিভাগের কর্মকর্তারা জোংড়া টহলফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকজন জেলেকে জাল, নৌকা ও বিষসহ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে । এ ব্যাপারে নলিয়ান রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক তৌফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত পরশুদিন অভিযানে জ্বালানীসহ ৪২ সেএফটি কাঠ ও একটি নৌকা আটক করে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ ব্যক্তির সাথে সখ্যতার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন এমন কারো সাথে আমার সম্পর্ক নেই। এদিকে, উপকুলীয় দাকোপ এলাকার সকল প্রতিষ্ঠিত মোকামে এখন প্রকাশ্যে অবৈধ বনজ সম্পদ বিক্রি হতে দেখা যায়। চোরাকারবারীদের হাত বদলের মাধ্যমে শহর অঞ্চলে প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে থাকে বলে সুত্রে জানা যায়। মাঝে মধ্যে বনবিভাগের উর্ধ্বধতন কর্মকর্তা এবং কোষ্টগার্ডের সদস্যরা পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কাঠ উর্দ্ধার করলেও পরিচালিত ব্যবসা বন্ধ করার জন্য সেটা যথেষ্ঠ নয় বলে মনে করা হয়। অপরদিকে, বর্তমানে বনের অভ্যন্তরে নিজেদের অভয়ারন্য কমে যাওয়া এবং নানা কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ভয়ংকর রয়েল বেঙ্গল টাইগার ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। ফলে সম্প্রতিকালে সুন্দরবনে অতিমাত্রায় বাঘের আক্রমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্র মতে, বাঘের কবলে পড়ে নিহত হওয়া অধিকাংশরা চোরাকারবারী। কিন্তু সরকারের সহানুভুতি আদায়ের লক্ষ্যে মারা যাওয়ার পর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের সহায়তায় বৈধ পারমিট ধারীর আওতায় আনা হয়। অন্যদিকে, সুন্দরবনের উপর পেশাজীবিদের চাপ কমাতে একাধীক বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প জীবিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু অদ্যবধী সেটি তেমন ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বাগেরহাট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ আমির হোসাইনের নিকট জানতে চাইলে বিষ প্রয়োগের কথা স্বাীকার করে তিনি এ প্রতিবেদকে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্ঠা করছি এবং আইনগত ব্যবস্থাও নিচ্ছি। গত ২দিনে আমরা বিষসহ ৭জন জেলেকে আটক করেছি। এর মধ্যে ৪ জনকে বাগেরহাট ও খুলনা কোর্টে চালান দিয়েছি। উপকুলিয় অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের আয়ের উৎস্য দেশের অপার সম্ভাবনাময় সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার বলে মনে করছেন সচেতন মহল।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
পরিবেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়