Tuesday, August 20

এক দিনের সাক্ষ্য গ্রহন নিয়ে ফেলানীর বাবা মামাকে দেশে পাঠাল বিএসএফ

কলকাতা : এক দিনের সাক্ষ্য নিয়ে বিএসএফ মঙ্গলবার দেশে উদ্যেশ্যে পাঠিয়ে দিল নিহত ফেলানির বাবা সহ চার সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলকে। 
 
নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের বাবা নুরুল ইসলাম মামা আব্দুল হানিফ সহ বিজিবি-র আধিকারিক তথা কুড়িগ্রামের ৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জিয়াউল হক খালেদ, কুড়িগ্রাম জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী আব্রাহাম লিংকনদের নিয়ে সোনারির 181 বিএসএফ-এর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সোমবারের পর মঙ্গলবার সকালে ফের এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী ভারতীয় দুই নাগরিকের সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে। 
 
সেইমতো সকাল থেকেই সোনারিতে ১৮১ নং বিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ব্যাটেলিয়নের বেশ খানিকটা দূরে অপেক্ষা করছিল গুটি কয়েক গণমাধ্যমের কর্মীরা। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণেই গণমাধ্যমের কর্মীদের চোখকে ফাঁকি দিয়েই অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বিএসএফ কোচবিহার জেলা সার্কিট হাউজ থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএসএফের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোচবিহার থেকে ফেলানীর বাবা সহ চার প্রতিনিধিকে তাদের বিশেষ আদালতে না এনে সীমান্তের উদ্যেশ্যে রওনা দেন। পরে জানা যায় চ্যাংরাবান্দা-কুড়িগ্রাম সীমান্ত পেরিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। 

এদিকে ফেলানীর পরিবার বাংলাদেশে চলে যাওয়ার পরেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যেখানে মঙ্গলবারও বাংলাদেশী প্রতিনিধিদের স্বাক্ষ্য নেওয়ার কথা, সেখানে সাতসকালেই তারা কেন দেশের উদ্যেশ্যে পাড়ি দিলেন। শত চেষ্টা করেও তার উত্তর মেলেনি। এবিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি বিএসএফ-এর কোন আধিকারিকও। একটি সূত্র জানাচ্ছে মঙ্গলবারও ফেলানীর বাবা ও মামার সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে এ বিশেষ আদালত থেকে জানানো হয় বাংলাদেশিদের সাক্ষ্য আর প্রয়োজন নেই। তাই তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মঙ্গলবারও বিচার প্রক্রিয়ার কাজ চলে। সেদিনকার সেই ঘটনার বিবরণ জানতে গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামত নেওয়া হয় এদিন।
অন্য একটি সূত্র জানায়, বিএসএফ যেভাবে অতি গোপনীয়তায় এর বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তাতে আদৌ সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ সরকার। বিএসএফ-এর সেই বিচারের কোন তথ্য দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ কমিশন কিংবা কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের কাছেও নেই। স্বভাবতই এই বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে কার্যত অখুশি বাংলাদেশ সরকার।

গত ১৩ অগাস্ট ভারতে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী দায়ীদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন  সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়