:: পরিবর্তন প্রতিবেদক ::
রোববার উদ্বোধন হচ্ছে রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে ব্যাপক যানজট নিরসনে কাজ করবে এ ফ্লাইওভার।
রোববার উদ্বোধন হচ্ছে রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে ব্যাপক যানজট নিরসনে কাজ করবে এ ফ্লাইওভার।
ঈদের মাত্র ৫ দিন আগে এবার নতুন করে নগরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে দিচ্ছেন কুড়িল ফ্লাইওভার।
রোববার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করবেন। এরপরই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
ঢাকার সাথে সিলেট বাইপাস সড়ক, এয়ারপোর্ট রোড, পূর্বাচলের সাথে যোগাযোগ সহজ করবে এই ফ্লাইওভারটি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফ্লাইওভারটি চালু হলে ঢাকার যানজট অনেকাংশেই কমে আসবে।
ঢাকার সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগকে সহজ করতে এবং রাজধানীর অভ্যন্তরীণ যানজট কমাতে ৩ বছরেরও বেশী সময় ধরে এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজউকের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা হয় ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার।
এর আগে, ২০১০ সালের ২ মে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের ১৬ মাস পর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কুড়িল ফ্লাইওভার। প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ভাবে যাচাই বাছাই করার পর ২০১০ সালের এপ্রিলে ফ্লাইওভারটির কার্যাদেশ দেয়া হয়। ৮ এপ্রিল ২০১০ নির্মাণ কাজ শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি। কার্যাদেশের শর্তানুসারে ৭ এপ্রিল ২০১২ এর মধ্যে এর পুরো কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। প্রাথমিক ভাবে মোট প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৩০৬ কোটি টাকা। প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড (পিবিএল) এবং এমবিইসি নামে দু’টি প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ভেঞ্চারে এই কাজ পায়। তবে কাগজ কলমে দু’টি প্রতিষ্ঠান থাকলেও এর কাজ করে মূলত পিবিএল। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজউকের নিজস্ব অর্থায়ন ও নিয়ন্ত্রণে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
কাজ বিলম্বে শুরু হওয়ার কারণ হিসেবে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন যুক্তি দেখায়। তারা দাবি করেন হরতাল, অবরোধ ও অন্যান্য কারণে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। কাজ করার জন্য রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পুলিশ বিভাগ থেকে সময়মতো অনুমতিও পাওয়া যায়নি। কাজ বিলম্বে শুরু করলেও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থায় নেয়নি রাজউক। উল্টো প্রতিষ্ঠানটি সময় ক্ষেপণ করে কিছু অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে ফ্লাইওভারের ১৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে নেয়। যার কোন ব্যাখ্যা নাই রাজউকের কাছে। অবশেষে ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ৩৮ মাস সময় লেগেছে।
রাজধানীর কুড়িল এলাকার বিশ্বরোড ক্রসিং ঘিরে একদিকে নিউ এয়ারপোর্ট রোড, অন্যদিকে প্রগতি সরণি। তৃতীয় দিকে কুড়িল-পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প সংযোগকারী নির্মিতব্য ৩০০ ফুট রাস্তা সংযুক্ত করে নির্মাণ করা হচ্ছে কুড়িল ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার, প্রস্থ ৯ দশমিক ২ মিটার। প্রকল্পের ব্যয় ধার্য আছে ৩০৬ কোটি টাকা।
--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়