Tuesday, August 20

নরসিংদী স্টেশনের কবর থেকে শিশু রাজুর লাশ উত্তোলন


নরসিংদী: বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফনকৃত শিশু রাজুর লাশ ৭ দিনর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পলাশের সানের বাড়ীর জঙ্গলে গুপ্তহত্যার শিকার ও বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফনকৃত শিশু রাজুর লাশ মঙ্গলবার নরসিংদী স্টেশন সংলগ্ন বেওয়ারিশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত শিশু রাজুর মায়ের দায়েরকৃত মামলা ও আবেদনের পরিপেক্ষিতে নরসিংদীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহার নির্দেশে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। 
জানা গেছে, নরসিংদী শহরের বাসাইল মহল্লার মোস্তফা মিয়া তার ভিটি বাড়ীর ৪ শাতাংশ জমি বিক্রি করে পলাশ উপজেলার চরনগরদী গ্রামে গিয়ে একটি চৌচালা টিনসেড ঘর নির্মান করে বসবাস করতে থাকে। বাসাইল’র বাড়িটি বিক্রি করার পর থেকেই শাকিল, সোহরাব, মুন্না, শিপন ও আলআমিনসহ কতিপয় চাঁদাবাজ মোস্তফা মিয়ার কাছে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে মোস্তফা মিয়ার শিশু সন্তান রাজু মিয়াকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। গত ১২ আগস্ট সকাল ১০ টায় চাঁদাবাজ শাকিল ক্রিকেট খেলার কথা বলে মোস্তফা মিয়ার ছেলে রাজুকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। একই দিন রাতে শিশু রাজু আসামীদের নির্দেশ অনুযায়ী তার মায়ের কাছে ফোন করে জানায় যে, সে তার বোন পারুলের বাড়ীতে আছে। যার ফলে রাজুর পিতামাতা নিশ্চিন্ত অবস্থায় থাকে। পরদিন রাজু বাড়ীতে ফিরে না আসায় পারুল বেগমের বাড়ীতে খবর নিয়ে জানতে পারে রাজু সেখানে যায়নি। পরে তারা আসামীদের বাড়ীতে গিয়ে দেখে তারাও কেউ বাড়ীতে নেই। গত ১৪ আগস্ট রাজুর পিতামাতা খবর পায় যে, পলাশের সানের বাড়ী জঙ্গলে একটি শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে তার পিতা-মাতা পলাশ থানায় গিয়ে ছবি ও পড়নের কাপড় দেখে রাজুকে চিনে ফেলে। পুলিশ জানায় যে তার মাথায়, নাকে, কানে, পায়ের গিরার বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। পুলিশ রাজুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নরসিংদী রেলস্টেশন সংলগ্ন বেওয়ারিশ কবরস্থানে দাফন করেছে। এ অবস্থায় রাজুর মা এ ব্যাপারে নরসিংদীর বিজ্ঞ সিজেএম আদালতে শাকিল, সোহরাব, মুন্না, শিপন ও আলআমিনকে আসামী করে একটি হত্যামামলা দায়ের করে। এ মামলার পরিপেক্ষিতে বিজ্ঞ সিজেএম নিতাই চন্দ্র সাহা শিশু রাজুর লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করেন।----ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়