খুলনা: বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেছেন, সংবিধান বেদ বা বাইবেল নয়, জাতির প্রয়োজনে সংশোধন অনিবার্য। এক চুল নড়বেন না, এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। এটা স্বৈরাচারের ভাষা। তিনি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে বলেন, শুধু দেশবাসী নয় বিশ্ব আজ বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সারা বিশ্ব চাচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন। হিন্দুস্থান টাইমসসহ বিশ্বের ৯টি সেরা পত্রিকায় খবর বের হয়েছে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা তলানীতে ঠেকেছে। তিনি বলেন, এই সরকার দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি ঠেকাতে পারে নি। আইন-শৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে। আজ ভাগাড়ে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। সে লাশের কেউ দাবিদার হচ্ছে না। আবার তদন্তও হচ্ছে না। মানুষ খুন হচ্ছে, গুম হচ্ছে,ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজি, নদী দখল, ভূমি দখল চলছে। হেফাজত ইসলামসহ নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। দেশে চলছে গণ হত্যা। আইনের শাসন বা বিচার পাচ্ছে না মানুষ।
হলমার্কের পর এবার আরোও একটি কোম্পানি ৪ হাজার কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে লুটপাট করেছে। শুধু সোনালী ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকা সরকারের প্রভাবশালীমহল লুটে নিয়েছে। এছাড়া এক লক্ষ কোটি টাকা শেয়ার বাজার থেকে লুটে নিলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। এতেই প্রমাণ করে শেয়ার লুট-পাটকারীদের সাথে সরকাররের উচ্চ মহল জড়িত। লুট করা এই টাকা এ দেশের ঠেলাগাড়ি চালক, রিকসাওয়ালা থেকে থেকে শুরু করে গরীব কৃষক-শ্রমিক জনতার। সাধারণ জনগণের আমানত আজ লুট হচ্ছে। তিনি বুধবার খুলনার হোটেল টাইগার গার্ডেনের হল রুমে খুলনা জেলা বিএনপি’র কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেন, এই সরকার হত্যাসহ ৪০ হাজার আসামীকে রাজনৈতিক বিবেচনায় বের করে দিয়েছে। অথচ তড়িঘড়ি করে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা ও নির্বাচনের আগে বিচার সম্পন্নের পায়তারা করছে। তিনি বলেন, কুইক রেন্টালে মাধ্যমে সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভূর্তকি দিলেও বিদ্যুতের অবস্তা কি তা আপনারা বুঝতে পারছেন।
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে বলেন,আওয়ামীলীগ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ভয় পায় তা হলো ওয়ান ইলেভেনের অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যে সরকার ছিল আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফসল। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। বরং সে দিনের নেপথ্যের নায়ক জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে এখনও অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে।
বিএনপি’র নতুন ধারার রাজনীতির প্রসঙ্গে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শপথ নেব। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। দলকানা প্রশাসন হবে না। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে হবে। এই নতুন রাজনীতির ডাক দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। দলীয় কর্মীদের তিনি বলেন, আপনারা আন্দোলন সংগ্রামের এক একজন একটি স্তম্ভ। সামনে এই আন্দোলনে আপনারা দাবনলের ভূমিকা রাখবেন। শ্লোগান দিয়ে রাজনীতি হবে না। কার কেমন অবস্থা তা আমরা জানি। কেন্দ্র থেকে জরিপ আছে। রাজপথে কার অবস্থান সেটা আমরা জানি। কে আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে চলেন তা আমরা জানি। আন্দোলনে মাঠে থাকবেন না এটাও হবে না। আমরা সেপাই থেকে লেঃ কর্নেল হয়েছি। সুতরাং স্লোগান ও বিল বোর্ড দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করা যাবে না।
খুলনা জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাজিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি মশিউর রহমান,খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি,খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিকুল আলম মনা, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম,সাবেক এমপি শরীফ খসরুজ্জামান,সাবেক এমপি ডাঃ গাজী আব্দুল হক, সাবেক এমপি সৈয়দা নার্গিস আলী, যশোর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ,যশোর জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়র হোসেন খোকন, খুলনা জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডঃ গাজী আব্দুল বারী বিএনপি নেতা মোল্লা আবুল কাশেম, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম,শেখ আব্দুর রশিদসহ খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও দুইটি পৌর সভার নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া প্রায় ২০ জন তৃণমূল নেতাকর্মী তাদের এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা বর্ণনা করেন।---ডিনিউজ
হলমার্কের পর এবার আরোও একটি কোম্পানি ৪ হাজার কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে লুটপাট করেছে। শুধু সোনালী ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকা সরকারের প্রভাবশালীমহল লুটে নিয়েছে। এছাড়া এক লক্ষ কোটি টাকা শেয়ার বাজার থেকে লুটে নিলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। এতেই প্রমাণ করে শেয়ার লুট-পাটকারীদের সাথে সরকাররের উচ্চ মহল জড়িত। লুট করা এই টাকা এ দেশের ঠেলাগাড়ি চালক, রিকসাওয়ালা থেকে থেকে শুরু করে গরীব কৃষক-শ্রমিক জনতার। সাধারণ জনগণের আমানত আজ লুট হচ্ছে। তিনি বুধবার খুলনার হোটেল টাইগার গার্ডেনের হল রুমে খুলনা জেলা বিএনপি’র কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম বলেন, এই সরকার হত্যাসহ ৪০ হাজার আসামীকে রাজনৈতিক বিবেচনায় বের করে দিয়েছে। অথচ তড়িঘড়ি করে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা ও নির্বাচনের আগে বিচার সম্পন্নের পায়তারা করছে। তিনি বলেন, কুইক রেন্টালে মাধ্যমে সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভূর্তকি দিলেও বিদ্যুতের অবস্তা কি তা আপনারা বুঝতে পারছেন।
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কে বলেন,আওয়ামীলীগ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ভয় পায় তা হলো ওয়ান ইলেভেনের অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যে সরকার ছিল আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফসল। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। বরং সে দিনের নেপথ্যের নায়ক জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে এখনও অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে।
বিএনপি’র নতুন ধারার রাজনীতির প্রসঙ্গে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শপথ নেব। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। দলকানা প্রশাসন হবে না। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে হবে। এই নতুন রাজনীতির ডাক দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। দলীয় কর্মীদের তিনি বলেন, আপনারা আন্দোলন সংগ্রামের এক একজন একটি স্তম্ভ। সামনে এই আন্দোলনে আপনারা দাবনলের ভূমিকা রাখবেন। শ্লোগান দিয়ে রাজনীতি হবে না। কার কেমন অবস্থা তা আমরা জানি। কেন্দ্র থেকে জরিপ আছে। রাজপথে কার অবস্থান সেটা আমরা জানি। কে আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে চলেন তা আমরা জানি। আন্দোলনে মাঠে থাকবেন না এটাও হবে না। আমরা সেপাই থেকে লেঃ কর্নেল হয়েছি। সুতরাং স্লোগান ও বিল বোর্ড দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করা যাবে না।
খুলনা জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাজিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি মশিউর রহমান,খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি,খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিকুল আলম মনা, সাবেক এমপি কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম,সাবেক এমপি শরীফ খসরুজ্জামান,সাবেক এমপি ডাঃ গাজী আব্দুল হক, সাবেক এমপি সৈয়দা নার্গিস আলী, যশোর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ,যশোর জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়র হোসেন খোকন, খুলনা জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডঃ গাজী আব্দুল বারী বিএনপি নেতা মোল্লা আবুল কাশেম, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম,শেখ আব্দুর রশিদসহ খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও দুইটি পৌর সভার নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া প্রায় ২০ জন তৃণমূল নেতাকর্মী তাদের এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা বর্ণনা করেন।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়