সরিষাবাড়ী (জামালপুর): জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্থানীয় এমপি ডা. মুরাদ হাসান দলীয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে এলাকা ছাড়ার ২দিন পর পুলিশ পাহারায় রোববার এলাকায় যান। পরে তিনি উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় যোগ দিলে নেতাকর্মীরা আবারো তাকে ঘিরে ধরে। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি চুপ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখেন। এসময় থানা পুলিশ তাকে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় ঘিরে রাখে।
রোববার সকাল থেকে ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় যোগ দিতে এমপি মুরাদ হাসান রোববার ভোরে ঢাকা থেকে সরিষাবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি ভুয়াপুর হয়ে গোপালপুরের নলিন পর্যন্ত এলে তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ তাকে এগিয়ে আনে।
যমুনা সার কারখানার ভিআইপিতে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর কর্মীসভার উদ্দেশ্যে রওনা করলে অফিসার ইনচার্জ একেএম কামরুল আহসানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় (সাইরেন বাজিয়ে) তাকে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যায়। এসময় তারাকান্দি গেইটপাড়, তালুকদারবাড়ী মোড়, আরামনগর বাজার ও শিমলা বাজার এলাকায় টহল পুলিশ রাখা হয়। দুপুর নাগাদ তিনি কর্মীসভায় গেলে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে এমপি নিরবতা পালন করলে সিনিয়র নেতাদের মধ্যস্থতা ও পুলিশের নিরাপত্তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ‘উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় এমপি মুরাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্বসাত ও নেতাকর্মীদের সাথে দুরত্ব সৃষ্টির অভিযোগ আনলে অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনা ছড়িযে পড়ে।’
দলের নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্বসাত, নেতাকর্মীদের সাথে দুরত্ব, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগে শুক্রবার ডোয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় এমপি ডা. মুরাদ হাসান দলীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে এলাকা ত্যাগ করেন। এসময় দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন।---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়