যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো। রোববার দুপুরে পলিটব্যুরোর এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।
তাদের দাবি, আদালতের রায়ের পর এ দলটি আর রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।
সভায় বলা হয়, সংবিধান ও নির্বাচন বিধিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
তাদের দাবি, আদালতের রায়ের পর এ দলটি আর রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।
সভায় বলা হয়, সংবিধান ও নির্বাচন বিধিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রায় সকল পর্যায়ে ঘোষিত রায়ে জামাতে ইসলামকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে কর্মকাণ্ড করার কোন অধিকার তারা রাখে না।
এ কারণে অবিলম্বে জামায়াতে ইসলাম ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এবং তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করার জন্য তার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সরকারের আওতায় নেয়ার জন্যও পলিটব্যুরোর সভায় দাবি উত্থাপন করা হয়।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পরও তাদের সাথে ঐক্য বহাল থাকবে বলে বিএনপির বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বলা হয় এর মধ্য দিয়ে তারা যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠনের সরাসরি পক্ষাবলম্বন করল।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবির প্রেক্ষিতে বিএনপি কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করায় বিশ্বাস করে না বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে পলিটব্যুরোর সভায় বলা হয়, এই বিএনপি “আফগান স্টাইলে বিপ্লব হবে” এই কথিত উক্তির অজুহাতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস, নুরুল হাসান, ফজলে হোসেন বাদশা ও শফিউদ্দিন আহমেদ।--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়