:: মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::
হাটবাজার, রেস্তোরাঁ ও বাসাবাড়ির বর্জ্য আগে যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হতো। তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হতো। সেই চিত্র এবার পাল্টে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বর্জ্য ফেলার পাত্র। এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
হাটবাজার, রেস্তোরাঁ ও বাসাবাড়ির বর্জ্য আগে যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হতো। তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হতো। সেই চিত্র এবার পাল্টে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বর্জ্য ফেলার পাত্র। এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ কার্যক্রমটি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে উপজেলা পরিষদের তহবিল থেকে এ লক্ষ্যে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মুমিতকে সভাপতি করে একটি বর্জ্যব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলা সদরের বিভিন্ন হাটবাজার, বসতবাড়ি ও রেস্তোরাঁয় ৪০টি প্লাস্টিকের ড্রামও স্থাপন করা হয়।
প্রকল্পের কার্য-তদারককারী খায়ররুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পর তা বাছাই করা হয়। পলিথিন, প্লাস্টিক, লোহা, কাচ, নুড়ি-পাথর ও টিন আলাদা করে রাখা হয়। পরে বর্জের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে গোবর, কচুরিপানা, খৈল, মুরগির বিষ্ঠা, কাঠের গুঁড়া, ধানের ভুসি, চুনসহ ইউরিয়া, টিএসপি ও পটাশ জাতের সার মিশিয়ে চারটি গর্তে ফেলা হয়। টানা দুই মাস তা গর্তে রাখা হয়। এ সময় উপকরণগুলো পচাতে প্রতিদিন গর্তে পরিমাণ মতো পানি ঢালা হয়। নির্দিষ্ট সময় পর জৈবসার তৈরি হলে গর্ত থেকে বাইরে এনে রোদে শুকানো হয়। পরে তা বাছাই করে বস্তায় ভরে রাখা হয়। এ পদ্ধতিতে শুধু সার, খৈল ও চুন কিনতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর বজলুর রশীদ বলেন, "রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সারের গুরুত্ব বেশি। এ সার জমির উর্বরতা ও পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া এ সার পরিবেশ বান্ধব।"--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়