রাজবাড়ি: মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুরে অবস্থিত কালের সাক্ষী দেউলটি। মধুখালী বাসষ্ট্যান্ড থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে এই কালের সাক্ষী। এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও এ দেউলটি। দেখতে গোলাকার ও লম্বা আকৃতির। এ দেউলটির সামনে ও ডান পাশে খোলা দু’ট দরজা রয়েছে। প্রতিটি স্তরে রয়েছে হিন্দুরের দেবীর মুর্তি ও পৌরানী যুগের নানা ছবি দেউলটি প্রায় ৮০ ফুট উচ্চতা। এই দেউলটি নিয়ে রয়েছে এলাকায় নানা মত। কবে কিভাবে এটি নির্মিত হয়েছিল তা সঠিকভাবে আজও জানা যায়নি। তবে এলাকার অনেকেরই ধারণা এটি ১৬ অথবা ১৭ দশকের কোনো এক সময় নির্মিত হয়েছিল। দেউলঠি নির্মাণের জন্য যে আকারের ইট ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে তা থেকে ধারণা করা যায় এ দেউলটি ষোড়স দশকের গোড়ার দিকে অর্থাৎ মোঘল আমলের দিকে নির্মিত। এলাকার অনেকের ধারণা মতে, মথুরা মোহন নামে এক রাজা ছিলেন তার মৃত্যুর আগেই তিনি তার সমাধীর উপর এটি নির্মাণ করে যান। আবার অন্য একটি কাহিনী মতে স¤্রাট আকবরের আমলে ভুসনা এক রাজ্য ছিল যা দেউলটি থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে। মুঘল সৈন্যরা ভুসনার রাজা সীতারামকে পরাজিত করার জন্য এখানে আসে। অবরুদ্ধ রাজা সীতারাম যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য সোনারগাঁওয়ের রাজা ঈশা খাঁর সাহায্য কামনা করেন। উভয়েই সীতারামকে রক্ষার জন্য সৈন্য পাঠান। আক্রমন করলে রাজা সীতারাম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন এবং জয়ী হন। পরবর্তী সময়ে পাঠান ও মঘল সৈন্যরা দিল্লি থেকে শক্তি সঞ্চয় করে আবার যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং যুদ্ধে জয়ী হন। এই পরাজয় এবং জয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এই কালের সাক্ষী দেউলটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন এধরনের আরো অনেক কাহিনী রয়েছে দেউলটি ঘিরে। ১৯৩৫ সালে দেউলটি পতœতত্ত্ব বিভাগের আওতায় আসে। মাঝখান থেকে দেউলটি ভেঙ্গে পড়তে লাগলে ২০০৫ সালে দেউলটির সংস্কার করা হয়। এর পরে আজো পর্যন্ত কোন সংস্কার করা হয়নি। এলাকাবাসীর ধারনা এখানে ভালো কোন পর্যটক এলাকা হলে এই এলাকার অনেক উন্নতি হবে।--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
দর্শনীয় স্থান
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়