Friday, August 2

'তারেক কী করেছে আর আমি কী করেছি তা সবাই জানে'

খুব ঘটা করেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে পা রেখেছেন শেখ হাসিনার ছেলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়। তার এই রাজনীতিতে আগমনে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে আওয়ামী লীগে। জয়ের ক্লিন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তি নির্বাচনেও জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতে চায় আওয়ামী লীগ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার পরই রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জয়। বক্তব্য রেখেছেন একাধিক সমাবেশ এবং রাজনৈতিক সভায়। জয়ের মুখে ঝরে পরছে আগামীর সুস্থ-সুন্দর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় খোলামেলা কথা বলেছেন বিভিন্ন বিষয়ে।
বিএনপির শাসনামলের সমালোচনা করে জয় বলেন, “এমন কোনো সেক্টর ছিল না যেখানে তারা দুর্নীতি করেনি। বিদ্যুৎ সেক্টরে তারা এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে পারেনি।"
তখন হাওয়া ভবন থেকেই সব নিয়ন্ত্রণ করা হতো মন্তব্য করে জয় বলেন, "এমন কোনো ব্যবসায়ী নেই যারা বলবেন না যে তাদের হাওয়া ভবনে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়নি।"
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এমন কোনো 'ভবন' হয়নি উল্লেখ করে প্রধানন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন,"বাংলাদেশে এমন একজন ব্যবসায়ীও পাবেন না যে জয় আমার কাছে চাঁদা চেয়েছে।"
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আমার মা দু'বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারেক রহমানের মা-ও দু’বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারেক কী করেছে আর আমি কী করেছি তা তো সবাই জানে।" আওয়ামী লীগে তার আগমনের ব্যাখ্যাও দেন জয়। তিনি বলেন, "আমি এসেছি আমার দলকে সহযোগিতা করতে। আমার নিজের পক্ষে যতোটুকু সম্ভব আমাকে তা করতে হবে। এখন যদি টাকার দিকে নজর দিতে চাইতাম তা হলে তো গত সাড়ে চার বছরেই তা করতে পারতাম।"
পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, "অভিযোগ যেটা উঠেছে তা হলো পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ইচ্ছা ছিল। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।"
আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেয়া হয়নি কেন- এ প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, "তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে এমন কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে মামলা করা যেতে পারে। একটি ডায়েরির কথা বলা হলেও তাতেও আবুল হোসেনকে নিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি।"
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, "আমার মনে আছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরে সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছিল বিদ্যুৎ নিয়ে। তখন বিদ্যুতের যে ঘাটতি ছিল তা কুইক রেন্টালে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।"
তিনি বলেন, "কুইক রেন্টাল না হলে কল-কারখানা চলতো না, মানুষ কাজ করতে পারতো না। তাদের আয় হতো না।"
গত ১৬ জুলাই স্ত্রী ক্রিস্টিন ওভারমায়ার ও একমাত্র মেয়ে সোফিয়াসহ দেশে আসেন জয়।
সর্বশেষ ৩১ জুলাই বুধবার রংপুরের পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় দলের পক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চেয়েছেন জয়। এর মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো জনসভায় প্রথমবারের মতো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনরত জয়।---পরিবর্তন

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়