বিদেশে কর্মী পাঠাতে প্রতারণা ও অনিয়ম করলে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন চুড়ান্ত খসড়া নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
মোশাররাফ হোসাইন, “প্রস্তাবিত আইনে প্রতারণার অভিযোগে রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিতে পারবে।”
সচিব বলেন, “বর্তমানে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী অধ্যাদেশটি রয়েছে, সেটি ১৯৮২ সালের। এটাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেই নতুন করে এ আইনটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
প্রস্তাবিত আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত আইনে বিদেশগামী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ সুরক্ষা, দেশিয় রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা ও ভিসা ট্রেডিং রোধ, রিক্রুটিং লাইসেন্স প্রদান এবং বিদেশ ফেরত শ্রমিকের মামলা করার অধিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।”
এ আইনে শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত আইনের ৩৭ থেকে ৪৭ ধারা পর্যন্ত অপরাধের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অনুর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।”--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়