Wednesday, August 21

বেগম রোকেয়ায় শিক্ষক ধর্মঘট শুরু

রংপুর: তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধসহ সাত দফা দাবিতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ধর্মঘট শুরু করেছে। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এ ধর্মঘট আহবান করে।শিক্ষকরা ঘোষণা করেছে, দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকান্ড পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, তিন মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। এমনকি ঈদে তাদের বোনাস পর্যন্ত দেয়া হয়নি। বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
শিক্ষকরা আরও অভিযোগ করেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুর উন নবী ঈদের পর বকেয়া বেতন পরিশোধ করাসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন করার কথা বললেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে তারা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছেন।
সাত দফার উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে- উচ্চ শিক্ষাগামী শিক্ষকদের ছুটি নিশ্চিত করা, জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগে এডহক ও পদের বিপরীতে অস্থায়ী পদে কর্মরত শিক্ষকদের স্থায়ী পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অরগানোগ্রাম অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে সব বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা ।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমাজের যুগ্ম আহ্বায়ক ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক¤িপউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ডিন ড. আবু কালাম মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয়েছি। 
এদিকে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতন ভাতা দাবিতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরউন নবীকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারিরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। 
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫শ ৫৯  কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৪৪ জন হচ্ছেন স্থায়ী। বাকি ৩১৫ জন অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ কর্মরত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার বার সময় দিয়েও অস্থায়ীদের স্থায়ী করছেন না। অন্যদিকে তিন মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের কেউই কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এমনকি গত ঈদেও তারা বকেয়া বেতন ভাতা এবং বোনাস পাননি।
অথচ বিশ্ববিদ্যালয় খেলার পর মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের তার কার্যালয়ে ডেকে জানিয়ে দেন স্থায়ীভাবে যারা কর্মরত আছেন তারা ছাড়া বাকিদের বকেয়া বেতন বোনাস কিছুই দেয়া সম্ভব নয়।
উপাচার্যের এ ঘোষণা জানাজানি হলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিক্ষোভে ফেটে ফেটে পড়েন এবং উপাচার্যকে তার কক্ষে আটকে রেখে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, চার মাস আগে দায়িত্ব গ্রহণকালে উপাচার্য নিজেই স্থায়ী-অস্থায়ীদের বকেয়া বেতনসহ সকল পাওনা পরিশোধ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু তিনি অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়