Wednesday, August 14

বিদেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হোটেলে নিয়ে দেহ ব্যবসা

নরসিংদী: জর্দানে বিউটি পার্লারে আকষণীয় বেতনে চাকুরী দেয়ার লোভ দেখিয়ে সেখানে নিয়ে হোটেলে দেহ ব্যবসা করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঙ্গালীনগর গ্রামের রিক্সাচালক দানিছ মিয়ার স্ত্রী রুবি বেগম (২০)কে জর্দানে নিয়ে একটি হোটেলে জোরপূর্বক আটক রেখে প্রতারক চক্র তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করে মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছে। থাকা-খাওয়া ফ্রি এবং প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে একই গ্রামের মোসলেহ উদ্দিন এবং তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম দিনমজুর রিক্সা চালক দানিছ মিয়ার স্ত্রী রুবি বেগমকে লোভ দেখিয়ে প্রায় একমাস পূর্বে জর্দানে প্রেরন করে। কিন্তু বিউটি পার্লারে চাকুরীতো দুরের কথা সেখানে একটি হোটেলে নিয়ে তাকে আটক করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় লিপ্ত করেছে। হোটেলে রেখে তাকে শারীরিক নির্যাতনসহ প্রতিদিনই দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে বের হয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। সম্প্রতি রুবী বেগম হোটেলে এক ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের মাধ্যমে তার স্বামী দানিছ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপের মাধ্যমে এ ঘটনা জানায়। 
এ ঘটনা স্বামী দানিছ মিয়া, পাচারকারী মোছলেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে অবহিত করলে পাচারকারী মোছলেহ উদ্দিন তাকে বলে যে, এ ব্যাপারে কোন বারাবারি করবি না এবং কাউকে এ বিষয়ে কোন কিছু বলবি না। তোকে আমি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দিবো। আর যদি তোর বৌ’কে দেশে আনতে চাস তাহলে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং এতে ২/৩ মাস সময় লাগবে। রুবী বেগমের স্বামী দানিছ মিয়া বুধবার নরসিংদী প্রেসক্লাবে এসে কান্না জজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের কাছে এ করুণ ঘটনার বর্ণনা দেন। এসময় তার সাথে বৃদ্ধ মা ও তিন শিশু সন্তান ছিল। 
অভিযোগে প্রকাশ, নারী পাচারকারী মোছলেহ উদ্দিন, তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাঙ্গালীনগর গ্রামে থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নারী প্রাচারের উদ্দেশ্যে এলাকার নারীদের আকর্ষণীয় বেতন ও খাওয়া-থাকা কোম্পানীর বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জর্দানে পাচার করে থাকে। তা ছাড়াও মোছলেহ উদ্দিনের মেয়ে শরিফা বেগম দীর্ঘ ৬/৭ বছর যাবত জর্দানে থাকার সুবাদে তার মাধ্যমে এ নারী পাচার চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ঢাকার জনৈক রিক্রোটিং এজেন্সি সোমাইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মিজানুর রহমান ও তার পার্টনার জনৈক তারেক এ পাচার কাজে সহযোগিতা করে থাকে। ৩ সন্তানের জননী রুবী বেগম স্বামী, সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে সুখ-শান্তিতে থাকার আশায় অনেক কষ্ট করে তার স্বামীকে রাজী করে মোছলেহ উদ্দিন ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের হাতে দেড় লক্ষ টাকা তুলে দেয়।--ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়