Tuesday, August 20

বুধবার নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সেই দিন

ঢাকা : বিভীষিকাময় রক্তাক্ত গ্রেনেড হামলা দিবস বুধবার।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ৯ম বাষির্কী। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে এ হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। ২০০৪ সালের এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা এবং নির্যাতন নিপীড়নের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিছিল পূর্ব সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসী ঘাতকচক্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে।

বারুদের ঝাঝালো গন্ধে বীভৎস হত্যাকাণ্ডে এদিন স্তব্দ হয় সারাজাতি। রক্তের স্রোত আর আহতদের চিৎকারে বাকরুদ্ধ সভ্যতার মাথা নুয়ে পড়লেও থেমে থাকেনি ঘাতকদের নেপথ্য উল্লাস।

যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় এমন ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক নারকীয় তান্ডবের সৃষ্টি হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গন। সেদিন গ্রেনেড হামলার পর মূহুর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে।

আহত হন অগণিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। তাদের অনেকেই আজীবনের জন্য পংঙ্গু হয়ে আজো মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

দেশবাসীর প্রত্যাশা সত্য উৎঘাটন। ঘটনার প্রকৃত পরিকল্পনাকারী, তদানীন্তন ক্ষমতাসীনদের ষড়যন্ত্র, হত্যাকারীদের কারা আড়াল করতে চেয়েছিল এসব জানা আজ জাতীয় নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য অতীব জরুরি বলে মনে করছেন আওয়ামী নেতারা।

তাই, তাদের দাবি এই নির্মম ট্র্যাজেডির সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার হোক, সত্যের আলোয় বেরিয়ে আসুক অপরাধীদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড এটাও নিশ্চিৎ করা প্রয়োজন যে অপরাধী সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন শাস্তি যেন অপরাধীরা এড়াতে না পারে।

২১ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন।

এসময় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও অনুরূপ কর্মসুচিতে যোগদান করবেন।

অতঃপর একই স্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ এবং আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আগামী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে পালন করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতৃবৃন্দকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি স্মরণ ও পালন করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়