Monday, August 26

চুক্তি নিয়ে প্রয়োজনে মমতার সাথে কথা বলতে আপত্তি নেই : কলকাতায় সুরঞ্জিত

কলকাতা : বহু প্রতিক্ষিত ভারত বাংলাদেশ তিস্তা পানি বন্টন এবং স্থল সিমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। 
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুনা অডিটরিয়ামে ডিস অ্যাসোসিয়েটিং রিলিজিয়ান ফরম টেরোরিজম– দ্য প্যাথ অ্যাহেড সেমিনারে যোগদিতে এসে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বাংলাদেশের সাবেক রেল মন্ত্রী ও দফতর বিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি আরও বলেন, এটা আপনাদের(ভারতের) আভ্যন্তরীন সমস্যা। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি এই চুক্তি বাস্তাবায়িত হোক। এই সমস্ত চুক্তির ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক নিয়ম আছে সেই অনুযায়ী আমরা এগিয়েছিল। তারপরেও আলাদা করে মমতার সাথে কোন কথা বলতে আমাদের কোন অসুবিধা নেই। মন্ত্রীর আক্ষেপ এই চুক্তি দুইটি চুক্তিদুটি অনেকদিন ধরে অমিমাংসিত হয়ে রয়েছে। আমরা চাই উভয় দেশের স্বার্থেই এই দুটি চুক্তি দুইটি অত্যন্ত জরুরী। 
পানি বন্টন খুবই ন্যায্য বিষয়। তাঁর মতে দুই দেশের মানুষই গভীর অপেক্ষায় বসে রয়েছে। আমি ভারতের আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক বিষয়ে কোন কথা বলতে চাইনা। যদি বন্ধু প্রতিম দেশের মানব কল্যাণে সংশ্লিষ্ট মহলকে জানাবে। দুই দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে রাজনীতির ছায়া না ফেলে উভয় দেশের স্বার্থে বিষয়টি বাস্তবায়িত হোক।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশনীতি বিষয়ক শিক্ষক,জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, আসলে এই দুইটি বিষয়ে আগেই নিষ্পত্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এটা যে হয়নি তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এর প্রধান কারণ । ভারতের মতে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশ। এখানে  অঙ্গরাজ্যগুলির মতামতকে গুরুত্ব দিতে হয় কিন্তু এখানে দেওয়া হয়নি। ফলে এই তিস্তা চুক্তির ক্ষেত্রে যিনি মুখ্যমন্ত্রী আছেন তিনি বলছেন তাঁর মতামত নিতে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তাহলে ঠিক হবে। হঠাৎ দিল্লি থেকে একজন রাজনৈতিক দূত এসে বললেন এভাবে করুন-ওভাবে করুন তাহলে হয়ে যাবে এতে তো মুখ্যমন্ত্রীর অসুবিধা হবেই। আমরা মনে হয়না ব্যাপারটি দুষ্কর। পানির ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে তা সংরক্ষণ। কিন্তু দুইটি দেশের কেউই পানির সংরক্ষণ করছেন না। তা না করে কে কোন নদীতে বাঁধ দিচ্ছে সেই বিষয়টি নিযে সোচ্চার হচ্ছে। দুই দেশের অনেক পানি, এটা ঠিকঠাক সংরক্ষণ করে তাহলে পাানির সমস্যা মিটে যাবে।
ছিটমহল সমস্যা সমাধান অনেকটা নিজে থেকেই হয়ে আছে বাকী শুধু কাগজ কলমে। তাই আমি মনে করি এব্যাপাওে দুশিন্চার কিছু নেই। অনেকসময় ্নতকর্জাতিক ক্ষেত্রে এগুলি ঠিক সরলরেখায় চলে না, আর সেটাই হচ্চে।
বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ড: মঈন খান বলেন, নিজেদের মধ্যে সদভাবের অভাবে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। ছিটমহলের বিষয়টি মনে করি অত্যন্ত সহজ বিষয়। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই বিষয় নিযে যুদ্ধ করা আমি যুক্তসঙ্গত মনে করি না। বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা লাভের পর ছিটমহল চুক্তি স্বাক্ষর করে তখন তাৎক্ষনিক ভাবে তৎকালীন সংসদে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছিল। আমার ভাবতে অবাক লাগে বিগত ৪২ বছর ধরে আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ কেন এটা ফেলে রেখেছে। আমার মনে হয় ভারতের রাজনীতিতে কোন প্রভাব পড়বে বলে এই চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না। তিস্তা সহ ৫৪ টি আন্তর্জাতিক নদী আছে যা দুইদেশকে বন্ধন করেছে। আজকে যে আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশন আছে তা বিশ্বজোড়া স্বীকৃত। যে লোয়ার রাইপ এরিয়ান দেশগুলি আছে তাদের মর্যাদা দিয়ে আপার রাইপেরিয়ানদের উচিত এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা। অথচ আমরা দেখছি আপার রাইপেরিয়ানরা বহুদিন ধরে তা ঝুলিয়ে রেখেছে।
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড: ওসমান ফারুক বলেন,আমরা চাই মানুষের স্বার্থে এই চুক্তি দুইটি হোক। এটা মানবিক সমস্যা।----ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়