Monday, August 19

তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে এনে জনগণকে স্বস্তি দিন : মির্জা ফখরুল

ঢাকা : সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অযথা সময় নষ্ট না করে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বিল আনুন। কারণ সংবিধানে সংশোধনী আনতে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক পরিবর্তন সরকারকেই আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের জনগণকে স্বস্তি দিন।

সোমবার দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।

“সংবিধান অনুসারেই নির্বাচন হবে-এর এক চুল পরিমাণও নড়চড় হবে না” এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে আদালতের রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধান সংশোধন ও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের ব্যাপারে সরকার নবম সংসদ নির্বাচনে জনগণের কোন ম্যান্ডেট নেয়নি। এছাড় তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে আদালতের রায়ের দু’টি অংশ ছিল। আদালত বলেছে-“রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন, প্রয়োজন আরও দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় নির্বাচন করা যেতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একটি অংশ মানছেন অন্যটি তিনিই ভঙ্গ করছেন।

তিনি বলেন, আসলে ব্যাপারটি হল তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চান না। কারণ তাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্ছার হয়েছে। এর প্রমাণ, পাঁচ সিটি নির্বাচনে দেশের মানুষ সরকারকের না বলে েিদয়েছে এবং তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের গনতন্ত্র বিরোধী ও অর্থনীতি ধবংসের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আজ দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সরকারের ফ্যাসিবাদের জবাব দিতে মানুষ সোচ্ছার হয়ে উঠেছে।
দেশের জনগণকে স্বস্তি দিতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, অযথা সময় নষ্ট না করে আগামী অধিবেশনে তত্তাবধায়ক বিল আনুন। কারণ সংবিধানে সংশোধনী আনতে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক পরিবর্তন সরকারকেই আনতে হবে।

এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। এর মধ্যে রয়েছে জেলায় জেলায় ৫৬ টি সাংগঠনিক টিমের সফর, জনসংযোগ ও সভা-সমাবেশ।
এছাড়া আগামী ৮ সেপ্টেম্বর নরসিংদী, ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী, ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর,  ২২,সেপ্টেম্বর খুলনা, ২৮,সেপ্টেম্বর বরিশাল ও  ৫ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করবে ১৮ দল। প্রত্যেকটি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষন দেবেন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন ভাষন দিবেন খালেদা জিয়া। এছাড়া ঈদের পর চট্টগ্রাম ও ঢাকায় জনসভায় হবে। এ তারিখ পরে নির্ধারণ করা হবে।

তবে মির্জা ফখরুল জানান, এসময়ের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিও দেয়া হতে পারে।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়