:: সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ::
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন এখনও অব্যহত রয়েছে। ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্থ ১০ হাজার পরিবারে এবার ঈদের আনন্দ নেই।
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন এখনও অব্যহত রয়েছে। ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্থ ১০ হাজার পরিবারে এবার ঈদের আনন্দ নেই।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম থেকে জেলার চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গণ শুরু হয়। এ ভাঙ্গণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চৌহালী উপজেলা। চৌহালীসহ ৫ টি উপজেলার বহু ঘরবাড়ি,জায়গা-জমি,গাছপালা,উপজেলা পরিষদ, সোনালী ও কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বহু গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার বলে জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে। অপর দিকে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার অনেক পরিবারই ওয়াপদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ায় এখন তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঈদ ঘনিয়ে আসলেও আর্থিক সংকটের কারণে এসব নিঃস্ব পরিবারগুলোর কেনা-কাটা নেই। যে কারনে তাদের মধ্যে ঈদ আনন্দের কোন আমেজ নেই।
ভাঙ্গণ কবলিত নিঃস্ব মজিদ মোল্লা আক্ষেপ করে বলেন,“ ঈদে পরিবারের সদস্যদের নতুন জামা কাপড় দেয়া তো দূরের কথা তাদের মুখে এক চামচ মিষ্টি সেমাই তুলে দিতে পারবে কি না সেই আশঙ্কাতেই দিন পার করছি।”
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, “জেলা প্রশাসক বরাবর ক্ষতিগ্রস্থ ১২’শ পরিবারের তালিকা প্রেরন করা হয়েছে। বরাদ্দ অনুযায়ী ঢেউটিন ও নগদ টাকা দেয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে আরোও সহযোগিতা করা হবে।" --পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়