Thursday, August 15

স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানকে প্রনব-মনমোহনের কড়া হুশিয়ারি

কলকাতা : ভারতের ৬৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানকে কড়া হুশিয়ারী দিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী এবং প্রধামন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে  প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর ভাষণে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি থেকে সীমান্তে পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু, বিবিধ বিষয় উঠে আসে।

কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন এধরণের ঘটনা রুখতে ভারত সবধরণের পদক্ষেপ নেবে। ভারত-পাক সম্পর্কের উন্নতি চাইলে পাকিস্তানকে `ভারত-বিরোধী` কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দৃঢ় হতে হবে বলেও স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রণব মুখার্জি বলেন, "ধৈর্যেরও সীমা আছে।"শুধু তাইনয় দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারত বন্ধুত্ব বজার রাখার চেষ্টা করলেও সীমান্তে বার বার যুদ্ধ বিরতির চুক্তি ভাঙা হচ্ছে।
৬৭তম স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির ভাষণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য, "আমরা শান্তি চাই, কিন্তু ধৈর্যেরও সীমা আছে। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার খাতিরে সব ব্যবস্থা করা হবে। সীমান্তের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেবে দেশ।``সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সাহসীকতাকে কুর্ণীশ জানানোর পাশাপাশি, শহীদ সৈনিকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
বৃহস্পতিবার  লালকেল্লায় স্বাধীনতা দীবস অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন,ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনও জায়গা নেই।পাশাপাশি,রেলওয়ে, বিমানপরিষেবা, বিদ্যুৎ ক্ষেত্র, রাস্তাঘাট, বন্দর ও টেলিকমিশনে দেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কয়লার প্রতুল যোগআন সত্ত্বেও তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জাতীর উদ্দেশে ভাষণে মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যে খাদ্য সুরক্ষা বিলের কথাও উঠে এল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দাবি করেছেন খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু হলে দেশের ৭৫% গ্রামাঞ্চলে ও ৫০% শহরাঞ্চলের জনগন উপকৃত হবেন। নৌসেনার সাবমেরিন সিন্ধুরক্ষকের বিস্ফোরণে ১৮জন নৌসৈনিকের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর সঙ্গেই উত্তরাখণ্ডের বন্যা বিদ্ধস্ত অঞ্চলের মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন তিনি।গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্রমোন্নতির কথা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রণব মুখার্জি বলেন, "ধৈর্যেরও সীমা আছে।"শুধু তাইনয় দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারত বন্ধুত্ব বজার রাখার চেষ্টা করলেও সীমান্তে বার বার যুদ্ধ বিরতির চুক্তি ভাঙা হচ্ছে।
৬৭তম স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির ভাষণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য, "আমরা শান্তি চাই, কিন্তু ধৈর্যেরও সীমা আছে। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার খাতিরে সব ব্যবস্থা করা হবে। সীমান্তের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেবে দেশ।``সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সাহসীকতাকে কুর্ণীশ জানানোর পাশাপাশি, শহীদ সৈনিকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রনব মুখার্জী ইউপিএ সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন,দেশের সরকারি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে৷ তৈরি হয়েছে নেতিবাচক মনোভাব৷ জনপ্রতিনিধিরা যেন আইনসভায় নয়, যুদ্ধে নেমেছেন৷ দুর্নীতি দমন বড় চ্যালেঞ্জ৷ বছর ঘুরলেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন৷ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণেও উঠে এল সেই ভোট প্রসঙ্গ৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কেন্দ্রে সরকার গড়তে এবার আঞ্চলিক দলগুলি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে৷ কিন্তু, সেক্ষেত্রে কতটা স্থায়ী হবে সেই সরকার? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে৷ সেই প্রেক্ষাপটে, বুধবার, রাষ্ট্রপতি প্রণব জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে স্থায়ী সরকার গঠনের পক্ষে সওয়াল করলেন৷ 
কয়েক বছর আগেও প্রণব মুখোপাধ্যায় নিজে যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, তখন দেখেছেন, কী ভাবে সংসদের গোটা অধিবেশন শাসক-বিরোধীদের বাক-বিতণ্ডায় ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছে৷ ছবিটা এখনও পাল্টায়নি৷ জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ যে গ্রহণযোগ্য নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি৷ ---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়