Wednesday, August 28

আ.লীগের নির্বাচনী স্লোগান

ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগের নির্বাচনী  স্লোগান ‘এগিয়ে এসেছি পিছিয়ে যেতে চাই না’। ইতোমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হচ্ছে বলে দলের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই স্লোগানকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুইজন উপদেষ্টা, সাবেক একজন সচিব, দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দুইজন নেতা দায়িত্ব পালন করছেন। এতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের পরামার্শ নেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজিব ওয়াজেদ জয় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্লোগান কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, নতুন স্লোাগান এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সম্ভাব্য স্লোগান হতে পারে ‘এগিয়ে এসেছি, পিছিয়ে যেতে চাই না’। স্লোগানের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। বাংলাদেশকে পরিপূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত ও আরো আধুনিক করতে সময় লাগবে। ক্ষমতার ধারাবাহিকতা না থাকলে আমরা পিছিয়ে যাব।

ইশতেহার প্রস্তুত কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত এক উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই প্রস্তুত করা হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার। বিগত ২০০৮ সালের ‘দিন বদলের সনদ’ আদলে এবারের সম্ভাব্য শিরোনাম হবে ‘এগিয়ে এসেছি পিছিয়ে যেতে চাই না’ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্রমতে, দশম জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে দেশ থেকে চিরতরে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস নিমূল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বদরবাওে প্রতিষ্ঠিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে ইশতেহারে। নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র বিমোচন, সুশাসন, গ্রামীণ জীবনযাত্রার উন্নয়ন,শিক্ষা, কৃষি, শিল্পায়ন এবং দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার প্রতি-সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবারের ইশতেহারে।

দলীয় সুত্র আরো জানায়, বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় এবারও তরুণ প্রজšে§র জন্য থাকছে বিশেষ ঘোষণা। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উপজেলা পর্যায়ে নূন্যতম একটি করে কলেজ, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সকল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামুল্যে ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনা হবে। প্রতি নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার যে কাজ করছে এবং নারী স্বাধীনতাকে আরো বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে আসন্ন ইশতেহারে। 

এছাড়াও ইশতেহারে সরকার এবং রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য অর্জন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ দমনে, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমুদ্র সীমা বিজয়ের মতো সাফল্য গুলো উল্লেখ থাকবে। গত নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে, বর্তমান মেয়াদে যে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হবে না, আগামীতে রায় কার্যকর করার বিষয়টিও উল্লেখ করার পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের।


আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, গ্রামীণ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নখাতকে প্রথম অগ্রাধিকার দিয়েই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করা হবে।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আসন্ন ইশতেহারে তরুণদের  চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দেবেন। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সহজলভ্যতার জন্য অঙ্গীকার করবেন।
 
দলীয় সুত্রমতে, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। বিষয়গুলো হলো,দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্যের অবসান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়