Monday, August 19

বাতাসে গেলেই কিন্তু চুল উড়ে যাবে : হাসিনাকে খালেদা

ঢাকা:  ‘সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘বাতাসে গেলেই কিন্তু চুল উড়ে যাবে। এমন আন্দোলন হবে, চুল উড়ে দিশেহারা হয়ে যাবেন।  চুল তো থাকবেই না, অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়বে।

সোমবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

দেশের সব উন্নয়ন বিএনপির সময় হয়েছে বলে দাবি করেন বিরোধীদলীয় নেতা।
 
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় সব উন্নয়ন বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে হয়েছে। যমুনা সেতু আমরা করেছি। আওয়ামী কোনো উন্নয়ন করেনি। তাদের সুযোগ ছিল পদ্মাসেতু করার কিন্তু কমিশন খেয়ে তা আর করতে পারেনি।’
 
তিনি বলেন, ‘জনগণ বিশ্বাস করে না যে, আওয়ামী লীগ কোনো উন্নতি করেছে। দেশের মানুষ আজ আওয়ামী লীগের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। উন্নয়নের যে কথা সরকার বলছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ কখনোই সত্য কথা বলেননি। ভাঁওতা দিয়েছে, দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে।’
 
আওয়ামী লীগের চরিত্র লুটপাট, খুন, গুম আর জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
 
নির্বাচনের আগে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতির কোনটিই আওয়ামী লীগ বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।
 
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের কী অবস্থা! তারা অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছিল, কিন্তু তার কতোটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। তারা জনগণকে যে ওয়াদা দিয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি।’
 
দেশের ৯০ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বলে দাবি করে খালেদা বলেন, ‘আপনারা তো বলেন, অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাহলে সবার সমান সুযোগ রেখে নির্বাচনে আপনাদের ভয় কেন?’
 
তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের বিল পার্লামেন্টে এনে তা পাস করুন, দেশে অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
 
এদিন বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের অসংখ্য কর্মী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনও হাত নেড়ে তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি রঙিন বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভ উদ্ধোধন করেন।
 
বেলা ৩টা ২০ মিনিটে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শুরু হয়। শুরুতেই সংগঠনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া লিটন পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন। পরে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
 
বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে মঞ্চে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আর এ গনি, ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন উপস্থিত রয়েছেন।
 
এছাড়া, অনুষ্ঠানে রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল  নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপষ্টেদা শাসুজ্জামান দুদু, শাজাহান ওমর, এম এ মান্নান, যুগ্মমহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাফরুল হাসান, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, গণশিক্ষা সম্পাদক সানা উল্লাহ মিয়া, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্র দলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভ’ইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রশীদ হাবীবসহ ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়