তালা (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদরের ডাকবাংলোর পেছনে কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খাল বন্ধ করে ইমারত নির্মাণ করা হচ্ছে। জনস্বার্থে ব্যবহৃত পানি নিস্কাশনের এ-খালটি বন্ধ হওয়ায় উপজেলা সদরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এবার স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে। ইতিমধ্যে উপজেলা সদরের অফিসপাড়া পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জুনায়েত আকবর নিজের জমি দাবী করে ওই ইমারত নির্মান করছেন।
তালা শহরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উপজেলা সদরসহ বারুইহাটি, মহল্লাপাড়া, রহিমাবাদ, খাজরাসহ প্রায় ছয়টি গ্রামের পানি ডাকবাংলোর পেছনের খাল দিয়ে নিস্কাশন হতো। এই খালের উপর এখন ইমারত (ঘর) নির্মান করা হচ্ছে। ইমারত নির্মান করায় পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে উপজেলা সদর সহ ছয়টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্থায়ী জলবদ্ধতার কবলে পড়বে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, তালা পুরাতন থানার পাশে ১০৮ ও ১০৯ দাগে ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের খালটি ছিল। এই খাল দিয়ে বিগত ১০০ বছরের বেশী সময় ধরে উপজেলা সদরসহ পাঁচ-ছয়টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু কপোতাক্ষ নদ পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় খালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। তবে খালের উপর ইমারত নির্মানের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য স্থানীয় তহশীলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তালা থানা সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে পূরাতন থানার সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ করছেন। বর্তমানে প্রাচীর নির্মানের কাজ চলছে। সীমানা প্রাচীরের পাশে নিজেদের জমি দাবি করে সৈয়দ জুনায়েত আকবর ইমারত (ঘর) নির্মান করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডাকবাংলোর পেছনে খালের কপোতাক্ষ নদীর সংযোগ স্থলে পূরাতন থানার প্রাচীরের পাশে প্রায় ৩৩ শতক জমির উপর ব্যক্তি মালিকানা ইমারত (ঘর) নির্মান করা হচ্ছে। এ-জায়গায় সীমানা প্রাচীর দিয়ে কয়েকটি ইমারত (ঘর) তৈরি করা হয়েছে। এতে পানি নিস্কাশনের খাল বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে শহরের স্থানীয়রা জানায়, প্রথমে পূাতন থানার প্রাচীরসহ থানা সীমানার অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে বলে প্রচার দেওয়া হয়। এখন বাস্তবে ব্যক্তি মালিকানা ইমারত (ঘর) দেখে সবাই অবাক হচ্ছে। ইমারত নির্মানের জায়গা (জমি) ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কেউ দখল করেনি।
তালা শহরের বাসিন্দা ও প্রবীন রাজনীতিবিদ প্রদীপ মজুমদার জানান, বর্তমানে ডাকবাংলোর জমির মধ্যে পানি নিস্কাশনের খাল রয়েছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে খালের জায়গায় ওই ইমারত নির্মান করা হয়েছে। আমার ৭৫ বছর বয়সে কখনো ওই জমি কারও দখল করতে দেখিনি।
তালা বাজার বনিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন জানান, বনিক সমিতির একজন ছাড়া বিষয়টি কেঊ জানেন না। তারা ওই খালের সীমানা নির্ধারণ (মাপযোপ) না করে ইচ্ছা মতো ঘর নির্মান করছে। বিষয়টি আমরা মৌখিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রসাশনকে জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যে কারনে চলতি সপ্তাহে বনিক সমিতির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইনামুল হক জানান, পুরাতন থানার বাউন্ডারী অনুমোদিত হওয়ার পর মাপযোগ করে থানার জায়গাতে প্রাচীর হচ্ছে। এর বাইরে কেউ জায়গা দখল করে ঘরবাড়ি তৈরি করলে সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। এসব দেখার জন্য ভূমি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
তালা সদর ইউনিয়নের তহশীলদার মনিরুল ইসলাম ইমারত নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘জমির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে বর্তমান জরিপে ওই জমি খাস খতিয়ানে আছে।’ তবে ইমারত নির্মানকারী সৈয়দ জুনায়েদ আকবর বলেন,‘আমরা নিজেদের জমিতে ঘর নির্মান করছি। কোন খালে ঘর নির্মান করা হয়নি।’---ডিনিউজ
তালা শহরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উপজেলা সদরসহ বারুইহাটি, মহল্লাপাড়া, রহিমাবাদ, খাজরাসহ প্রায় ছয়টি গ্রামের পানি ডাকবাংলোর পেছনের খাল দিয়ে নিস্কাশন হতো। এই খালের উপর এখন ইমারত (ঘর) নির্মান করা হচ্ছে। ইমারত নির্মান করায় পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে উপজেলা সদর সহ ছয়টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্থায়ী জলবদ্ধতার কবলে পড়বে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, তালা পুরাতন থানার পাশে ১০৮ ও ১০৯ দাগে ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের খালটি ছিল। এই খাল দিয়ে বিগত ১০০ বছরের বেশী সময় ধরে উপজেলা সদরসহ পাঁচ-ছয়টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু কপোতাক্ষ নদ পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় খালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। তবে খালের উপর ইমারত নির্মানের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য স্থানীয় তহশীলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তালা থানা সূত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে পূরাতন থানার সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ করছেন। বর্তমানে প্রাচীর নির্মানের কাজ চলছে। সীমানা প্রাচীরের পাশে নিজেদের জমি দাবি করে সৈয়দ জুনায়েত আকবর ইমারত (ঘর) নির্মান করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডাকবাংলোর পেছনে খালের কপোতাক্ষ নদীর সংযোগ স্থলে পূরাতন থানার প্রাচীরের পাশে প্রায় ৩৩ শতক জমির উপর ব্যক্তি মালিকানা ইমারত (ঘর) নির্মান করা হচ্ছে। এ-জায়গায় সীমানা প্রাচীর দিয়ে কয়েকটি ইমারত (ঘর) তৈরি করা হয়েছে। এতে পানি নিস্কাশনের খাল বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে শহরের স্থানীয়রা জানায়, প্রথমে পূাতন থানার প্রাচীরসহ থানা সীমানার অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে বলে প্রচার দেওয়া হয়। এখন বাস্তবে ব্যক্তি মালিকানা ইমারত (ঘর) দেখে সবাই অবাক হচ্ছে। ইমারত নির্মানের জায়গা (জমি) ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কেউ দখল করেনি।
তালা শহরের বাসিন্দা ও প্রবীন রাজনীতিবিদ প্রদীপ মজুমদার জানান, বর্তমানে ডাকবাংলোর জমির মধ্যে পানি নিস্কাশনের খাল রয়েছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে খালের জায়গায় ওই ইমারত নির্মান করা হয়েছে। আমার ৭৫ বছর বয়সে কখনো ওই জমি কারও দখল করতে দেখিনি।
তালা বাজার বনিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন জানান, বনিক সমিতির একজন ছাড়া বিষয়টি কেঊ জানেন না। তারা ওই খালের সীমানা নির্ধারণ (মাপযোপ) না করে ইচ্ছা মতো ঘর নির্মান করছে। বিষয়টি আমরা মৌখিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রসাশনকে জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যে কারনে চলতি সপ্তাহে বনিক সমিতির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইনামুল হক জানান, পুরাতন থানার বাউন্ডারী অনুমোদিত হওয়ার পর মাপযোগ করে থানার জায়গাতে প্রাচীর হচ্ছে। এর বাইরে কেউ জায়গা দখল করে ঘরবাড়ি তৈরি করলে সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। এসব দেখার জন্য ভূমি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
তালা সদর ইউনিয়নের তহশীলদার মনিরুল ইসলাম ইমারত নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘জমির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে বর্তমান জরিপে ওই জমি খাস খতিয়ানে আছে।’ তবে ইমারত নির্মানকারী সৈয়দ জুনায়েদ আকবর বলেন,‘আমরা নিজেদের জমিতে ঘর নির্মান করছি। কোন খালে ঘর নির্মান করা হয়নি।’---ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়