Monday, August 26

দাকোপে অপহৃত ঘের ব্যবসায়ী ৭২ ঘন্টা পর উদ্ধার


দাকোপ(খুলনা): ৫ লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবীতে খুলনার দাকোপে অপহ্নত ঘের ব্যবসায়ী ৭২ ঘন্টা পর উর্দ্ধার হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মুখ না খুললেও মুক্তিপনের টাকা দিয়ে তাঁকে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে এলাকাবাসী এ ঘটনার পনরাবৃত্তির আশংকায় আতংকের মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করে চলেছে। 
দাকোপ উপজেলার গুনারী এলাকর ঘের ব্যবসায়ী নিখিল মন্ডল অপহরনের ৭২ ঘন্টা পর রবিবার দিবাগত গভীর রাতে ফিরে এসেছে। এবিষয়ে পরিবারের সদস্য বা অপহ্নত ব্যক্তি কোন রকম মুখ খুলতে চাইছেনা। তবে এলাকার একাধীক সুত্রে জানা যায় দাবীকৃত মুক্তিপনের ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করায় দস্যুরা যে স্থান থেকে তাঁকে তুলে নেয় সেখানে রেখে যায়। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টরা সুন্দরবনে দস্যুতার সাথে জড়িত। তবে অপহ্নত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার এমনকি এলাকাবাসী অনেকটা আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করে চলেছে। যে কারনে এবিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেনা। গতকাল অপহ্নত ব্যবসায়ী নিখিলকে দাকোপ থানায় হাজির করা হয়। এ ব্যাপারে দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ কবির হোসেন বলেন, অপহ্নত ব্যাক্তি এবিষয়ে কোন রকম মুখ খুলতে চাইছেনা। তিনি বলেন বর্তমানে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়েছে তাঁরা। উল্লেখ্য ঘের ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র মন্ডলকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে নিজের চিংড়ী ঘেরের বাসা থেকে অপহরন করা হয়। অপহ্নত ব্যবসায়ী স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি সাবেক ইউপি সদস্য মৃঃ বিমল মন্ডলের একমাত্র জামাতা। সুত্র জানায় ১৬/১৭ জনের একদল মুখোশধারী দস্যুবাহিনী বে-আইনী অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিখিল চন্দ্রের ঘেরে হানা দেয়। এ সময় ঘের মালিক নিখিল সাইড বাসায় অবস্থান করছিল। দস্যু দলটি ঘের কর্মচারী প্রশান্ত মন্ডলকে জিম্মি করে তার মাধ্যমে ঘের মালিক নিখিল চন্দ্রকে সেখানে হাজির করে। সেখানে আসার সাথে সাথে অস্ত্রের মুখে তাঁকে চোখ মুখ বেঁধে ৩শ‘ রাউন্ড বন্দুকের গুলি এবং তাঁর ব্যবহ্নত বৈধ বন্দুক দাবী করে। দস্যুদের দাবীর মুখে নিখিল জানায় গুলি নেই এবং বন্দুক থানায় জমা দেওয়া, তখন দস্যুবাহিনী তাঁকে অপহরন করে ট্রলার যোগে শিপসা নদী দিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরেরদিন শনিবার বেলা আনুমানিক ১১ টার দিকে দস্যুদলটি অপহ্নতের জামাতা কামারখোলা এলাকার লিংকন সরদারের কাছে মোবাইল ফোনে জানায়, তোমার শশুরকে মুক্ত করতে হলে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনকে না জানানোর জন্য সতর্ক করে দিয়ে বলে, কোন রকম চালাকির আশ্রয় নিলে নিখিলের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হবে। যে কারনে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট জানানো হয়নি। ---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়