যশোর: অভয়নগরের আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি সন্ত্রাসী কসাই সামাদ এবং তার স্ত্রী কাঞ্চিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকালে বেনাপোলের পর্যটন মোটেল থেকে তাদের আটক করে যশোরের ডিবি পুলিশ। আটক সামাদ অভয়নগর উপজেলার ভুইকারা গ্রামের আদম আলী শেখের ছেলে। সামাদসহ মোট ৫ জন অভয়নগরের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে ৪ টুকরো করে হত্যা করে।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মনির হোসেন জানান, ফরিদ খুন হওয়ার পর পরই সামাদ এবং তার স্ত্রী ভারতে পালিয়ে যায়। এরপর মঙ্গলবার তারা ফিরে এসে বেনাপোল পর্যটন মোটেলে ওঠে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা বিষয়টি জানতে পেরে ভোর রাতে পর্যটন মোটেলে অভিযান চালান। সকালে তাদের ঐ হোটেল থেকে আটক করা হয়। কসাই সামাদের নামে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে অভয়নগর ও ফুলতলা থানায়। ধরা পড়ার পর তারা চাঞ্চল্যকর ফরিদ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশকে তারা জানিয়েছে, হত্যাকান্ডে মোট ৫ জন অংশ নেয়। ফরিদ হোসেনর সাথে সামাদের স্ত্রী কাঞ্চির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তবে শেষের দিকে তাদের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হলে কাঞ্চি ফরিদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করে। তারপরও ফরিদ তাকে জোর করে ভোগ করতো। বিষয়টি সামাদ জেনে ফেলে। এ ছাড়া যায়গা জমি নিয়েও সামাদের সাথে ফরিদের দ্বন্দ্ব ছিল। এসব ঘটনার জের ধরেই তারা ফরিদকে হত্যা করে বলে স্বীকার করেছে।
উল্লে¬খ্য, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ হোসেন ১ মে নওয়াপাড়া থেকে নিখোঁজ হন। ৩ মে সামাদের বাড়ি থেকে ফরিদের ৪ খন্ড লাশ উদ্ধার হয়। --ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়