দিনাজপুর: দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ৩টি নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছিগত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড পরিমাণ ৭৯ দশমিক ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে দিনাজপুরের ৪টি নদীর পানি বিপদসীমা ছুইছুই করছে। প্রবল বর্ষণে জেলার অনেক নিুাঞ্চল জলমগ্ন হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজিক্যাল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নুর আলম জানান, গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ ৭৯ দশমিক ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২ জুলাই ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল ৪৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার। সোমবারের দিন ও রাতের প্রবল বর্ষণে
দিনাজপুরের ৩টি নদীর পানি বিপদসীমা ছুইছুই করছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর প্রায় ১ টা পর্যন্ত পর্যন্ত শহরের পশ্চিমপার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত পূণর্ভবা নদীর পানি ৩৩ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই নদীর বিপদসীমা ৩৩ দশমিক ৫ মিটার।ভূষিরবন্দর পয়েন্টের করতোয়া নদীর পানি ৩৮ দশমিক ২২০ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদ সীমা ৩৯ দশমিক ৬৫০ মিটার। ফুলবাড়ীর ইছামতি নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি ২৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই নদীর বিপদ সীমা ৩০ মিটার। দিনাজপুরের সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী
আত্রাই নদীর পানি ৩৮ দশমিক ৩২ মিলিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর বিপদসীমা ৩৯ দশমিক ৬৪ মিলিমিটার। এছাড়াও জেলার ছোট-বড় ১৭টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বড় নদীর পানি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর পর্যবেক্ষণ করেন। অপর ১৩টি ছোট নদী এই ৪টি নদীর শাখা নদী হওয়ায় বড় নদীতে পানি বাড়তে থাকলে ছোট নদীগুলো পানি বেড়ে যায়। সবমিলিয়ে ছোট-বড় ১৭টি নদীর পানি বাড়ার তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে জেলায় বন্যা সৃষ্টি হয়।পানি উন্নয়ন অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, গত রোববার ও সোমবারের নানা প্রবল বর্ষণ দিনাজপুরের প্রধান ৪টি নদী পূণর্ভবা, করতোয়া, আত্রাই ও ইছামতির পানি বেড়েই চলছে। ভারত থেকে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও হয়ে ধেয়ে আসা পানি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদী দিয়ে ভারতে আবারো প্রবেশ করায় দিনাজপুরে বন্যার আশংকা নেই। তবে ঠাকুরগাঁও জেলার ৩টি নদীর পানি দিনাজপুরের অন্যান্য নদীগুলোর সাথে সংযুক্ত থাকায় ওই পানি এ অঞ্চলের নদীগুলোতে প্রবাহিত হলে বন্যা দেখা দেয়। বন্যায় দিনাজপুর শহর ও সদর উপজেলার আবাদী জমির ক্ষতি ঠেকাতে শহরের পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত পূণর্ভবা নদীর ৩টি রেগুলেটর এবং করতোয়া নদীর ২টি রেগুলেটর সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী জানান, গত ২৪ ঘন্টার টানা বর্ষণে জেলার ১৩টি উপজেলার অধিকাংশ নিুাঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। নদীর পানিগুলো বিপদসীমার নিকট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্ভাব্য বন্যায় যাতে জনমানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য গত ৮ জুলাই পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ঘুণিঝড় ও মানবিক বিষয়ক বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে সম্ভাব্য বন্যা ও জলবদ্ধতায় নিুাঞ্চলের মানুষ যাতে পানি বন্দী হয়ে দুর্ভোগ প্রহাতে না হয় সেই জন্য তাদেরকে উদ্ধার করে উঁচু এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে দুর্যোগ সময়ে খাবার, চিকিৎসা ও সাময়িক আশ্রয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে---ডিনিউজ
দিনাজপুরের ৩টি নদীর পানি বিপদসীমা ছুইছুই করছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর প্রায় ১ টা পর্যন্ত পর্যন্ত শহরের পশ্চিমপার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত পূণর্ভবা নদীর পানি ৩৩ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই নদীর বিপদসীমা ৩৩ দশমিক ৫ মিটার।ভূষিরবন্দর পয়েন্টের করতোয়া নদীর পানি ৩৮ দশমিক ২২০ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদ সীমা ৩৯ দশমিক ৬৫০ মিটার। ফুলবাড়ীর ইছামতি নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি ২৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই নদীর বিপদ সীমা ৩০ মিটার। দিনাজপুরের সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী
আত্রাই নদীর পানি ৩৮ দশমিক ৩২ মিলিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর বিপদসীমা ৩৯ দশমিক ৬৪ মিলিমিটার। এছাড়াও জেলার ছোট-বড় ১৭টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বড় নদীর পানি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর পর্যবেক্ষণ করেন। অপর ১৩টি ছোট নদী এই ৪টি নদীর শাখা নদী হওয়ায় বড় নদীতে পানি বাড়তে থাকলে ছোট নদীগুলো পানি বেড়ে যায়। সবমিলিয়ে ছোট-বড় ১৭টি নদীর পানি বাড়ার তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে জেলায় বন্যা সৃষ্টি হয়।পানি উন্নয়ন অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, গত রোববার ও সোমবারের নানা প্রবল বর্ষণ দিনাজপুরের প্রধান ৪টি নদী পূণর্ভবা, করতোয়া, আত্রাই ও ইছামতির পানি বেড়েই চলছে। ভারত থেকে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও হয়ে ধেয়ে আসা পানি দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদী দিয়ে ভারতে আবারো প্রবেশ করায় দিনাজপুরে বন্যার আশংকা নেই। তবে ঠাকুরগাঁও জেলার ৩টি নদীর পানি দিনাজপুরের অন্যান্য নদীগুলোর সাথে সংযুক্ত থাকায় ওই পানি এ অঞ্চলের নদীগুলোতে প্রবাহিত হলে বন্যা দেখা দেয়। বন্যায় দিনাজপুর শহর ও সদর উপজেলার আবাদী জমির ক্ষতি ঠেকাতে শহরের পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত পূণর্ভবা নদীর ৩টি রেগুলেটর এবং করতোয়া নদীর ২টি রেগুলেটর সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী জানান, গত ২৪ ঘন্টার টানা বর্ষণে জেলার ১৩টি উপজেলার অধিকাংশ নিুাঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। নদীর পানিগুলো বিপদসীমার নিকট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সম্ভাব্য বন্যায় যাতে জনমানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য গত ৮ জুলাই পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ঘুণিঝড় ও মানবিক বিষয়ক বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে সম্ভাব্য বন্যা ও জলবদ্ধতায় নিুাঞ্চলের মানুষ যাতে পানি বন্দী হয়ে দুর্ভোগ প্রহাতে না হয় সেই জন্য তাদেরকে উদ্ধার করে উঁচু এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে দুর্যোগ সময়ে খাবার, চিকিৎসা ও সাময়িক আশ্রয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়