Thursday, July 25

‘হেফাজতে নির্যাতন’ বন্ধে কোন আইন বাস্তবায়ন হয়নি

‘হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারণ)’ বিষয়ে স্বাধীনতার ৪২ বছরেও কোন সরকার এই আইনটি প্রণয়ন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর সাজ্জাদ হুসাইন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ আয়োজিত ‘হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে সরকারকে তাগিদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
সাজ্জাদ হুসাইন বলেন, “দেশে হেফাজতে নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট কোন আইন নাই। তাই কোন নির্যাতনকারীকেও সাজা দেওয়া যায় না।”
এ সময় তিনি রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে একসাথে কাজ করারও আহ্বান জানান।
অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলান বলেন, "এই নির্যাতন বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আচরণ পরিবর্তন করতে তাদের আরও সচেতন করতে হবে।”
এদিকে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারণ) বিল ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সাবের হোসেন চৌধুরি প্রাইভেট মেম্বার বিল হিসেবে পেশ করেন।  যা ২০১১ সালের মার্চে স্পিকারের কাছে পেশও করেন তিনি।
এ বিলটি সম্পর্কে আক্ষেপ করে নাসিরুদ্দিন এলান বলেন, “এটার ভাগ্যে কি আছে তা আমরা জানি না।”
আলোচনায় বলা হয়, ১৯৮৪ সালে নিউইয়র্কে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর ব্যবহার অথবা দণ্ড বিরোধী একটি সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যা ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তি দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ সনদের অংশীদার হয়েছিল।
এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ নির্যাতন ও নিষ্ঠুর অমানবিক লাঞ্ছনাকর, অবমাননাকর দণ্ড ও ব্যবহার নাগরিকের মৌলিক অধিকাররূপে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু অদ্যাবধি সেসবের কিছুই প্রকৃতার্থে বাস্তবায়িত হয়নি বলেও সভায় জানান হয়।
অধিকারের প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর সাজ্জাদ হুসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত প্রোগ্রাম অফিসার আবহাবুল ইউসুফ খান ও প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর রেজাউল ইসলাম খান প্রমুখ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়