প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জনগণের সাথে এসে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজনীতিতে জয়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা বাধা দেব না। কিন্তু পরিসৃত ভাষা ব্যবহার করুন।"
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
বিএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে 'মিথ্যাচার' ও 'কুরুচিপূর্ন কটূক্তি' করার প্রতিবাদে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, "জয় প্রথমে এসেই যে বক্তব্য দিয়েছেন জনগণের মধ্যে তা সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।"
তিনি বলেন, "জয় একবার হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নাকি ৩৫ ভাগ জঙ্গী আছে, এর মাধ্যমে তিনি দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন।"
একটি পত্রিকার সম্পাদকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, "বর্তমান সরকার বিগত সাড়ে চার বছরে প্রতিহিংসা, দাম্ভিকতা, অসহিষুতা ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। গোটা দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় নিমজ্জিত করেছে। তাই আগামীতে এ থেকে মুক্তি পেতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।"
তারেক রহমান গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, "তারেক জিয়াই একমাত্র নেতা যে কখনো কোনো দিন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের উপর আক্রমন করে কোনো কথা বলেননি । তিনি বিলেতে বসে বাংলাদেশের কথা চিন্তা করেন। নিজের রাজনৈতিক মেধা দিয়ে তরুন প্রজন্মকে আলোর পথ দেছিয়েছেন সেখানেই আপত্তি আওয়ামী লীগের।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলছেন। তিনি বলেন এক এগারোতে ফেরত যেতে চান না। আরেকবার তত্ত্বাবধায়ক আসলে নাকি ১০ বছরেও যাবে না। আমি বলতে চাই, ১৭৩ দিন হরতাল, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মেরে এই তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আপনারা।"
নিরপেক্ষ, নির্দলীয় নির্বাচন করে সেই সরকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মির্জা ফখরুল আহ্বান জানান।--পরিবর্তন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়