ঢাকা: পাকিস্তানের সাহসী কন্যা মালালা ইউসুফজাইকে চিঠি লিখেছে তালেবান। সেই চিঠিতে তাকে হামলার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। এমনকি ওই হামলা তালেবানের কাম্য ছিল না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গত বুধবার প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে তেহরিক ই তালেবানের সক্রিয় সদস্য আদনান রশীদ বলেন, মালালার ওপর হামলা ব্যক্তিগতভাবে তার কাম্য ছিল না। তবে তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণার জন্য মালালাকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে এ কিশোরীকে দেশে ফিরে মাদরাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আদনান রশীদ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সাবেক সদস্য। পরে তিনি তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তানে যোগ দেন।
রশীদ লিখেছেন, ‘এটা খুব বিস্ময়ের ব্যাপার যে, তুমি শিক্ষার পক্ষে বেশ উচ্চকণ্ঠ। তুমি এবং জাতিসংঘ এমন একটা ভাব করছে যেন শিক্ষার জন্যই তোমাকে গুলি করা হয়েছে যদিও ওই ঘটনার কারণ এটা নয়...শিক্ষা নয় বরং তোমার নেতিবাচক প্রচারণায়ই মূল ব্যাপার ছিল।’
ব্রিটিশ উপনিবেশিক ধাচের শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে প্রচারণা চালানো জন্য মালালাকে অভিযুক্ত করে তিনি তাকে ‘রক্তে এশীয় কিন্তু রুচিতে ইংরেজ’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা করা উচিৎ আর যাকে বলে ‘শয়তানি বা সেক্যুলার শিক্ষাক্রম’ তা শিক্ষা করা ঠিক নয়।’
রশীদ আরো লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে পরামর্শ দেবো, দেশে ফিরে এসো , ইসলামি ও পশতু সংস্কৃতি গ্রহণ কর। তোমার শহরের কাছাকাছি কোনো মেয়েদের মাদরাসায় ভর্তি হও। আল্লাহর কিতাব পড়। তোমার কলমকে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে ব্যবহার কর।’
এই চিঠিটি ইংরেজিতে লেখা এবং গত বুধবার তা উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। এ বিষয়টি বার্তাসংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন রশীদের এক ঘনিষ্ঠ তালেবান কর্মী।
মালালা চিঠিটি নিজে এখনো গ্রহণ করেনি সে ব্যাপারটি স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে সোয়াত উপত্যকার একটি শহরে তালেবান হামলার শিকার হন মালালা ইউসুফজাই। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর।
ব্রিটেনে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর সে এখন পুরোপুরি সুস্থ। সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সে একটি বক্তৃতা দিয়েছে।--ডিনিউজ
আল জাজিরা জানিয়েছে, গত বুধবার প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে তেহরিক ই তালেবানের সক্রিয় সদস্য আদনান রশীদ বলেন, মালালার ওপর হামলা ব্যক্তিগতভাবে তার কাম্য ছিল না। তবে তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণার জন্য মালালাকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে এ কিশোরীকে দেশে ফিরে মাদরাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আদনান রশীদ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সাবেক সদস্য। পরে তিনি তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তানে যোগ দেন।
রশীদ লিখেছেন, ‘এটা খুব বিস্ময়ের ব্যাপার যে, তুমি শিক্ষার পক্ষে বেশ উচ্চকণ্ঠ। তুমি এবং জাতিসংঘ এমন একটা ভাব করছে যেন শিক্ষার জন্যই তোমাকে গুলি করা হয়েছে যদিও ওই ঘটনার কারণ এটা নয়...শিক্ষা নয় বরং তোমার নেতিবাচক প্রচারণায়ই মূল ব্যাপার ছিল।’
ব্রিটিশ উপনিবেশিক ধাচের শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে প্রচারণা চালানো জন্য মালালাকে অভিযুক্ত করে তিনি তাকে ‘রক্তে এশীয় কিন্তু রুচিতে ইংরেজ’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষা করা উচিৎ আর যাকে বলে ‘শয়তানি বা সেক্যুলার শিক্ষাক্রম’ তা শিক্ষা করা ঠিক নয়।’
রশীদ আরো লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে পরামর্শ দেবো, দেশে ফিরে এসো , ইসলামি ও পশতু সংস্কৃতি গ্রহণ কর। তোমার শহরের কাছাকাছি কোনো মেয়েদের মাদরাসায় ভর্তি হও। আল্লাহর কিতাব পড়। তোমার কলমকে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে ব্যবহার কর।’
এই চিঠিটি ইংরেজিতে লেখা এবং গত বুধবার তা উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। এ বিষয়টি বার্তাসংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন রশীদের এক ঘনিষ্ঠ তালেবান কর্মী।
মালালা চিঠিটি নিজে এখনো গ্রহণ করেনি সে ব্যাপারটি স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে সোয়াত উপত্যকার একটি শহরে তালেবান হামলার শিকার হন মালালা ইউসুফজাই। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর।
ব্রিটেনে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর সে এখন পুরোপুরি সুস্থ। সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সে একটি বক্তৃতা দিয়েছে।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়