ঢাকা : মিসরের প্রধান বিচারপতি আদলি মানসুর দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন।
আল জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনের খবরে জানানো হয়, সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্থলাভিষিক্ত হলেন মানসুর।
গতকাল বুধবার রাতে সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে দিয়েছে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায়। একই সঙ্গে দেশের সংবিধান স্থগিত করে প্রধান বিচারপতি আদলি মানসুরকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিলেন তিনি।
মিসরের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে মুরসিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। গতকাল বিকেলে তা শেষ হয়। এরপর গতকাল রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, দেশকে বাঁচাতে মুরসিকে সরিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনী তাদের ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ পালন করেছে।
ক্ষমতাচ্যুত করার পর মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে একটি সেনাস্থাপনায় আটকে রাখা হয়েছে। মুরসির শীর্ষ সহযোগীরাও তাঁর সঙ্গে আটক রয়েছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য জানান।
প্রায় দুই বছর আগে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল তাহরির স্কয়ার। ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। তাঁর পদত্যাগের পর বাঁধভাঙা উল্লাস করেছিল মিসরের জনগণ।
গতকাল সেনাপ্রধান টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় মুরসিবিরোধী লাখ লাখ উত্ফুল্ল মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা স্লোগান দিতে থাকে, ‘জনগণ-সেনাবাহিনী ভাই ভাই।’
মুরসিসহ ক্ষমতাসীন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির কয়েকজন নেতার দেশত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেনাবাহিনী। এর আগে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদসহ রাজধানী কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়িসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
শেষ মুহূর্তে মুরসি অন্তর্বর্তী জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই সরকার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজন ও সংবিধান সংশোধনের জন্য স্বাধীন কমিটি গঠন করত। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
গত রোববার মুরসির ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হয়। সেই দিন থেকে শুরু হয় মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ। বিরোধীদের অভিযোগ, মুরসি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মাধ্যমে ২০১১ সালের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন।(ডিনিউজ)
আল জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনের খবরে জানানো হয়, সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্থলাভিষিক্ত হলেন মানসুর।
গতকাল বুধবার রাতে সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে দিয়েছে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায়। একই সঙ্গে দেশের সংবিধান স্থগিত করে প্রধান বিচারপতি আদলি মানসুরকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিলেন তিনি।
মিসরের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে মুরসিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। গতকাল বিকেলে তা শেষ হয়। এরপর গতকাল রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, দেশকে বাঁচাতে মুরসিকে সরিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনী তাদের ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ পালন করেছে।
ক্ষমতাচ্যুত করার পর মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে একটি সেনাস্থাপনায় আটকে রাখা হয়েছে। মুরসির শীর্ষ সহযোগীরাও তাঁর সঙ্গে আটক রয়েছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য জানান।
প্রায় দুই বছর আগে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল তাহরির স্কয়ার। ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। তাঁর পদত্যাগের পর বাঁধভাঙা উল্লাস করেছিল মিসরের জনগণ।
গতকাল সেনাপ্রধান টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় মুরসিবিরোধী লাখ লাখ উত্ফুল্ল মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তারা স্লোগান দিতে থাকে, ‘জনগণ-সেনাবাহিনী ভাই ভাই।’
মুরসিসহ ক্ষমতাসীন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির কয়েকজন নেতার দেশত্যাগের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেনাবাহিনী। এর আগে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদসহ রাজধানী কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়িসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
শেষ মুহূর্তে মুরসি অন্তর্বর্তী জোট সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই সরকার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজন ও সংবিধান সংশোধনের জন্য স্বাধীন কমিটি গঠন করত। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
গত রোববার মুরসির ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হয়। সেই দিন থেকে শুরু হয় মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ। বিরোধীদের অভিযোগ, মুরসি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মাধ্যমে ২০১১ সালের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়