:: নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ::
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর ৯ টুকরো করে ১৪ বছরের শিশু স্কুল ছাত্র ইমন হত্যাকান্ডের ঘটনার মামলার আসামী নাহিদ হাসান(২১)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ঢাকার চক বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে ঘটনায় হত্যকান্ডের ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর ৯ টুকরো করে ১৪ বছরের শিশু স্কুল ছাত্র ইমন হত্যাকান্ডের ঘটনার মামলার আসামী নাহিদ হাসান(২১)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ঢাকার চক বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে ঘটনায় হত্যকান্ডের ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, গত দুই বছর আগে এক ঝগড়ায় ইমনের বড় ভাই ইকবাল লাঠি দিয়ে আঘাত করে জেঠা আহম্মদ আলীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনায় এলাকার সালিসে ইকবালকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।
কিন্তু আহম্মেদ আলীর পরিবার সালিশ না মেনে এবং প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। ইমননের বাবা রমজান আলী বিষয়টি বুঝতে পেরে বড় ছেলে ইকবালকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।
নিজেদের মধ্যে ওই মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৩ জুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ বছরের শিশু ইমনকে চাচী সালমা বেগম বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তারকৃত জেঠাতো ভাই নাদিমসহ অন্য আসামীরা ইমনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ কেটে ৯ টুকরো করা ধইঞ্চা ক্ষেতের ভেতরে পুঁতে রাখা হয়। রক্ত মাখা নৌকা, চাকু ও চাপাতি পানিতে পরিস্কার করে যার যার বাড়িতে চলে যায়।
প্রসঙ্গত, গত চলতি বছরের ১৩ জুন নিখোঁজের ৯ দিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী চর রাধা নগর এলাকার ধইঞ্চ্যা ক্ষেত থেকে ইমনের ৯ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ সালমা বেগম ও মামুন নামের দুইজনকে আটক করে। নিহত ইমনের বাবা ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।--পরিবর্তন
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়