ঢাকা: সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির সাংবাদিককে মারধরের ঘটনাকে অশোভন, অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত অভিহিত করে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। বিষয়টির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত ‘বিএনপি নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার ও দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করার দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান করতে চাই, অনতিবিলম্বে এই বিষয়টি আর সামনে অগ্রসর হতে না দিয়ে এর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান করবেন। কারণ একজন রাজনীতিবিদ যে অবস্থাতেই হোক গণমাধ্যমের প্রতি তার সম্মানবোধ থাকতে হবে। আবার গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। এটা গণতন্ত্রের জন্যে সম্পদ। একে অন্যকে বাদ দিয়ে হয় না।”
তিনি বলেন, “গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে সম্পর্ক অবিভাজ্য, অপরিহার্য। গণমাধ্যম রাজনীতিবিদ বা সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো ধরনের অশোভন, অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনাই উচিত নয়। এই বিষয়টি আগেই মীমাংসা করা উচিত ছিল। গণমাধ্যম ও রাজনীতি একে অন্যের পরিপূরক, একের অন্যের সাহায্যকারী। সুতরাং এই বিষয়ে যদি আমাদের মধ্যে সাময়িক কোনো বিভ্রান্তি হতে পারে। আমি মনে করি উদার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে বিষয়টি সংকটে পরিণত হবে না।”
আদালত পর্যন্ত না গড়াতে দিয়ে রাজনৈতিক উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমস্যাটি সমাধানেরও আহ্বান জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, “আমি আশা করি এতগুলো নির্বাচনে বিজয়ের পরে বেগম খালেদা জিয়া খুব ঠাণ্ডা মাথায় এগোবেন। কারণ নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তরের আর সাংবিধানিক কোনো পথ নেই। আপনাকে অনেক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আশা করবো আর পানি ঘোলা না করে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে আলোচনা করে ও রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটাই হোক আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পথ ও সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ।”
‘সংবিধানে অনিতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনুন’ বিরোধী দলের এমন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন আর সেই দিন নেই। ফরমান দিয়ে হুকুম দিয়ে সংবিধান সংশোধন করা যায়, সে দিন চলে গেছে। তবে আপনি যদি সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করতে চান সেজন্যে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আপনি যদি চান নির্বাচন করে এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করুন। সে অধিকার আপনার আছে। সংবিধান সংশোধন সাধারণ আইনে হয় না। এর জন্যে নিয়ম আছে, বিধি কানুন আছে। সে অনুযায়ী আপনাকে করতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের আমাদের আগ্রহ নেই। এ ব্যাপারে আমরা বার বার স্পষ্ট কথা বলেছি।”
সংবিধানের পরিকাঠামোর মধ্যে যেকোনো আলোচনার দাঁড় খোলা আছে জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে দফতরবিহীন এই মন্ত্রী বলেন, “আপনাকেই বলতে হবে আপনি কী বিষয় আলোচনা করতে চান। আপনাকেই বলতে হবে নির্বাচনকালীনর সরকারব্যবস্থার কোন কোন বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করতে চান। আপনি কবে আলোচনা করবেন, কোথায় করবেন, কিভাবে করবেন-এ বিষয়টিও আপনাকেই স্পষ্ট করতে হবে।”
সংগঠনের সহ-সভাপতি নাজমুল হকের সভাপিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, আবদুল হাই কানু প্রমুখ।--ডিনিউজ
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত ‘বিএনপি নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার ও দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করার দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান করতে চাই, অনতিবিলম্বে এই বিষয়টি আর সামনে অগ্রসর হতে না দিয়ে এর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান করবেন। কারণ একজন রাজনীতিবিদ যে অবস্থাতেই হোক গণমাধ্যমের প্রতি তার সম্মানবোধ থাকতে হবে। আবার গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। এটা গণতন্ত্রের জন্যে সম্পদ। একে অন্যকে বাদ দিয়ে হয় না।”
তিনি বলেন, “গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে সম্পর্ক অবিভাজ্য, অপরিহার্য। গণমাধ্যম রাজনীতিবিদ বা সংসদ সদস্যদের মধ্যে কোনো ধরনের অশোভন, অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনাই উচিত নয়। এই বিষয়টি আগেই মীমাংসা করা উচিত ছিল। গণমাধ্যম ও রাজনীতি একে অন্যের পরিপূরক, একের অন্যের সাহায্যকারী। সুতরাং এই বিষয়ে যদি আমাদের মধ্যে সাময়িক কোনো বিভ্রান্তি হতে পারে। আমি মনে করি উদার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে বিষয়টি সংকটে পরিণত হবে না।”
আদালত পর্যন্ত না গড়াতে দিয়ে রাজনৈতিক উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমস্যাটি সমাধানেরও আহ্বান জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, “আমি আশা করি এতগুলো নির্বাচনে বিজয়ের পরে বেগম খালেদা জিয়া খুব ঠাণ্ডা মাথায় এগোবেন। কারণ নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তরের আর সাংবিধানিক কোনো পথ নেই। আপনাকে অনেক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আশা করবো আর পানি ঘোলা না করে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে আলোচনা করে ও রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটাই হোক আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পথ ও সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ।”
‘সংবিধানে অনিতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনুন’ বিরোধী দলের এমন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন আর সেই দিন নেই। ফরমান দিয়ে হুকুম দিয়ে সংবিধান সংশোধন করা যায়, সে দিন চলে গেছে। তবে আপনি যদি সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করতে চান সেজন্যে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আপনি যদি চান নির্বাচন করে এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করুন। সে অধিকার আপনার আছে। সংবিধান সংশোধন সাধারণ আইনে হয় না। এর জন্যে নিয়ম আছে, বিধি কানুন আছে। সে অনুযায়ী আপনাকে করতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের আমাদের আগ্রহ নেই। এ ব্যাপারে আমরা বার বার স্পষ্ট কথা বলেছি।”
সংবিধানের পরিকাঠামোর মধ্যে যেকোনো আলোচনার দাঁড় খোলা আছে জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে দফতরবিহীন এই মন্ত্রী বলেন, “আপনাকেই বলতে হবে আপনি কী বিষয় আলোচনা করতে চান। আপনাকেই বলতে হবে নির্বাচনকালীনর সরকারব্যবস্থার কোন কোন বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করতে চান। আপনি কবে আলোচনা করবেন, কোথায় করবেন, কিভাবে করবেন-এ বিষয়টিও আপনাকেই স্পষ্ট করতে হবে।”
সংগঠনের সহ-সভাপতি নাজমুল হকের সভাপিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, আবদুল হাই কানু প্রমুখ।--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়