কিশোরগঞ্জ: দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা আর সাম্প্রদায়িকতা একই সাথে চলতে পারেনা। এদেশে সেকুলার রাজনীতি চলবে না। বাংলাদেশে সকল প্রগতিশীল জনগোষ্ঠীকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কারো অনুকম্পা, দয়ার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকতে চাই না। সকল অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তিকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারের শেষ যুদ্ধ করে যেতে চাই। তিনি শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরে শ্রী শ্রী কালীবাড়ি অঙ্গনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন বিরোধী দলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। জামাত-হেফাজতকে নিয়ে ক্ষমতায় যাবার যতই স্বপ্ন দেখুন, এদেশে আর ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। এদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের। পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীর বিচার অবশ্যই শেষ করতে হবে। এ নিয়ে বিলম্ব করা চলবে না।
তিনি আরো বলেন, এদেশে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গেছে। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে সংখ্যালঘুদের মন্দির, বিগ্রহ ভাঙ্গা-পুড়ানো হয়েছে। ৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দিয়েছিল। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছিলাম। বিগত নির্বাচনেও মানুষ বহু আশা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে। সকল প্রগতিশীল মানুষকে একই প্লাটফরমে এনে পবিত্র মাতৃভূমি বাংলাদেশকে একীভূত রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলাম। দেখছি বিএনপি-জামাত ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে হেফাজতে ইসলামীর ভোট টানার তৎপরতার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, তেলে-জলে যেমন এক সাথে মিশে না, মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার যেমন এক সাথে মিশে না-তেমনি ধর্ম নিরপেক্ষতার সাথে হেফাজতে ইসলামও মিশে না। হেফাজত-জামায়াত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ান। অর্পিত সম্পত্তি আইন আমাদের দরকার নাই। সংখ্যা লঘুদের বাঁচাতে অর্পিত সম্পত্তি আইনের খ ও গ বাতিল করুন। বাতিলের জন্য অর্ডিনেন্স জারি করুন। যারা এ আইন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে সক্রিয় হতে হবে। কারণ এ দেশের মানুষ আপনাকেই বিশ্বাস করে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম-সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পাল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহ আজিজুল হক পিপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চক্রবর্তী ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরীফ আহামদ সাদী প্রমুখ।
শেষে বিজয় শঙ্কর রায়কে আহবায়ক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়। শুরুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপনের সভাপতি কানুতোষ মজুমদার সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন বিরোধী দলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। জামাত-হেফাজতকে নিয়ে ক্ষমতায় যাবার যতই স্বপ্ন দেখুন, এদেশে আর ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। এদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের। পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানাতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীর বিচার অবশ্যই শেষ করতে হবে। এ নিয়ে বিলম্ব করা চলবে না।
তিনি আরো বলেন, এদেশে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গেছে। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে সংখ্যালঘুদের মন্দির, বিগ্রহ ভাঙ্গা-পুড়ানো হয়েছে। ৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দিয়েছিল। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছিলাম। বিগত নির্বাচনেও মানুষ বহু আশা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে। সকল প্রগতিশীল মানুষকে একই প্লাটফরমে এনে পবিত্র মাতৃভূমি বাংলাদেশকে একীভূত রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলাম। দেখছি বিএনপি-জামাত ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে হেফাজতে ইসলামীর ভোট টানার তৎপরতার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, তেলে-জলে যেমন এক সাথে মিশে না, মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার যেমন এক সাথে মিশে না-তেমনি ধর্ম নিরপেক্ষতার সাথে হেফাজতে ইসলামও মিশে না। হেফাজত-জামায়াত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ান। অর্পিত সম্পত্তি আইন আমাদের দরকার নাই। সংখ্যা লঘুদের বাঁচাতে অর্পিত সম্পত্তি আইনের খ ও গ বাতিল করুন। বাতিলের জন্য অর্ডিনেন্স জারি করুন। যারা এ আইন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে সক্রিয় হতে হবে। কারণ এ দেশের মানুষ আপনাকেই বিশ্বাস করে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম-সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব, সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পাল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহ আজিজুল হক পিপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ, কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চক্রবর্তী ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরীফ আহামদ সাদী প্রমুখ।
শেষে বিজয় শঙ্কর রায়কে আহবায়ক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়। শুরুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপনের সভাপতি কানুতোষ মজুমদার সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়