Sunday, July 7

গাজীপুরের নগরপিতা এমএ মান্নান


গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী এমএ মান্নান বিজয়ী হয়েছেন। টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে তিনি মহাজোট প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চেয়ে প্রায় দেড় লাখের বেশি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯২ টির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আওয়ামীল লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান দেয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩,১২,০০০ ভোট এবং ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নান টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪,৬৮,০০০ ভোট পেয়েছেন।

প্রায় ৩৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটির ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটার আজ তাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করছেন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন ও মহিলা ভোটার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬২ জন।

নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫৫ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হয়েছে ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান (টেলিভিশন) এবং ১৪ দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানের (দোয়াত-কলম) মধ্যে। 

এছাড়া অন্যান্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন, আমান উল্লাহ (তালা), ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ঘোড়া),মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল (হাঁস) এবং রিনা সুলতানা (প্রজাপতি)।

নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২ প্লাটুন সদস্য, ৮৪৭ জন র‌্যাব ও আনসার সদস্যসহ প্রায় ১২ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। যেকেনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ছিল ৩৯২টি। যার মধ্যে ২টি অস্থায়ী কেন্দ্র। কেন্দ্রগুলো মধ্যে ২৩৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ কেন্দ্রগুলো বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।

নির্বাচনে ৭ হাজার ২৫৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে ৩৯২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২ হাজার ২৮৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ৫৭৮ জন পোলিং কর্মকর্তা। sylhetview24.com

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়