Thursday, July 4

পাবনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় দু’টি মামলা


পাবনা: পাবনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন (৩৫) হত্যার ঘটনার দুই দিন পর পাবনা সদর থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যার ঘটনার দুই দিন পর বুধবার রাতে নিহত মামুনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে একটি হত্যা ও  আহত টিপুর ভাই জালাল চৌধুরী খোকন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছে।
দায়েরকৃত দু’টি মামলাতেই তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে, প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যার পর তিন দিন পার হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী হানিফুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম বলা সম্ভব না। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূবের মারপিটের ঘটনা ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারের জের ধরেই মূলত এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। 
আহত টিপু হামলাকারীদের মধ্যে হাসান নামে এক যুবককে চিনতে পেরেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। হাসানের সঙ্গে আহত যুবলীগ কর্মী টিপুর পূর্বের মারপিটের ঘটনা নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন গত সোমবার দুপুরে মধ্য শহরের কাচারী পাড়াস্থ সাহারা ক্লাবে মূলত হাসানসহ হামলাকারীরা টিপুকে মারার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছিল। এ সময় মামুন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মামুন। আহত হন টিপু। 
উল্লেখ্য, গত সোমবার ১ জুলাই দুপুরে মধ্য শহরের কাচারী পাড়াস্থ সাহারা ক্লাবে বসে দাবা খেলার সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ ও যুবলীগ কর্মী টিপু হোসেনকে অতর্কিতে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে আহত মামুনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। আহত টিপু বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। (ডিনিউজ)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়