ঢাকা: হালের জনপ্রিয় স্মার্টফোনে ব্যবহৃত নানা সেন্সর ও অ্যাপের সহায়তায় প্রয়োজনীয় অনেক কাজই সম্পন্ন করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম একটি অ্যাপ উন্নয়ন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ক্যালটেক) গবেষকরা। তারা প্রযুক্তিটির নাম দিয়েছেন ক্রাউডশেক।
বিশেষ একটি অ্যাপ স্মার্টফোনের অ্যাকসেলারোমিটারকে ছোট্ট সিসমোগ্রাফে পরিণত করবে। সিসমোগ্রাফের মাধ্যমে ভূমিকম্পের সময় কম্পনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। স্মার্টফোনে অ্যাপটি ব্যবহার হলে তা ভূপৃষ্ঠের উপরের যেকোনো কম্পন খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারবে।
লসঅ্যাঞ্জেলেসের ছোট্ট শহর পাসাডেনার অনেক বসিন্দাই এখন তাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও রাউটারের মধ্যে ছোট আকারের সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করছে।
এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পেছনে গবেষকরা মূলত যে সমস্যাটির মুখোমুখি হয়েছেন, তা হলো— যন্ত্রটিকে ভূপৃষ্ঠের কম্পন ও স্বাভাবিক কম্পনের মধ্যে পার্থক্য বোঝানো। তবে এ সমস্যা থেকে তারা বের হতে পেরেছেন বলে জানান গবেষকরা।
এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিজ্ঞানী রিচার্ড গাই জানান, যন্ত্রটি ভূমিকম্প নির্ধারণে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। যন্ত্রটি ভূপৃষ্ঠের খুব অল্প পরিমাণ কম্পনও নির্ধারণে সক্ষম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপটি কম্পন শনাক্ত করার পর ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল, শুরুর সময় ও অন্য আরো অনেক তথ্যও দেবে স্মার্টফোনটি। এসব তথ্য খুবই কম সময়ের মধ্যে বিশ্লেষণ করবে ক্রাউডশেক। গবেষকদের মতে, এই সময় হবে মিলি সেকেন্ডেরও কম। অল্প কম্পন শনাক্ত করতে পারে বলে এটি অনেক আগে থেকেই গ্রাহককে ভূমিকম্প সম্পর্কে সাবধান করে দিতে পারবে। ফলে বিধ্বংসী ভূমিকম্প ঘটার আগেই একজন গ্রাহক পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
তবে এ প্রযুক্তির ব্যবহারে সরকারকে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রিচার্ড গাই। ব্যক্তি পর্যায়েই রাখার পক্ষে তিনি। কারণ সরকারিভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কখনো ভুল অ্যালার্ম বাজানো হলে নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি ও হুড়োহুড়ি লেগে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়ার অবস্থান ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায়। ১৯০৬ সালে একটি প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে সেখানে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।- টেলিগ্রাফ
খবর বিভাগঃ
তথ্য প্রযুক্তি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়