মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ-শমশেরনগর সড়কে সামাজিক বনায়নের প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে নিয়েছে চোরেরা। দুই বছর ধরে রাতে গাছগুলো কেটে নেওয়া হলেও উপকারভোগী সমিতি ও বন বিভাগ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে শমশেরনগর থেকে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সাড়ে ছয় হাজার গাছ রোপণ করা হয়। এখানে আকাশমণি, মনেজিয়ানসহ নানা জাতের গাছের চারা লাগানো হয়েছিল। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশে অল্প কিছু গাছ আছে। বিভিন্ন স্থানে রয়েছে গাছের গুঁড়ি ও মোথা।
এলাকার কয়েকজন জানান, প্রতি রাতেই এই সড়ক থেকে চোর চক্র একটি-দুটি করে গাছ কেটে নেয়। এ কারণে সড়কের ওই ছয় কিলোমিটার এলাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়ক সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সমিতির সদস্য আবদুর রহমান ও আবদুল গনি অভিযোগ করেন, সমিতির ১০০ জন সদস্য ওই ছয় কিলোমিটার সড়কের দুই ধারে সাড়ে ছয় হাজার গাছ রোপণ করেন। গাছের চারা একটু বড় হতেই চোর চক্র প্রতি রাতে একটি-দুটি করে গাছ কেটে নিতে শুরু করে। এই গাছ চোরদের শনাক্ত করে উপকারভোগী সমিতির সভাপতিকে জানানোর পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়ক সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সমিতির সভাপতি আবদুল বাছিত বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে প্রতি রাতে একটি-দুটি করে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ কেটে নিয়েছে গাছচোর চক্র। উপকারভোগী সদস্যরা চুরি যাওয়া গাছসহ হাতেনাতে গাছ চোরদের ধরলে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক আহমদ প্রভাব খাটিয়ে চোরদের ছাড়িয়ে নেন। ভবিষ্যতে আর গাছ চুরি করবে না বলে আটক ব্যক্তিরা মুচলেকা দিয়েছিল। কিন্তু এখন সড়কের ধারে গাছ নেই বললেই চলে। ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, গাছচোর সদস্যরা তাঁর ওয়ার্ডের লোক ছিলেন বলে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন। কমলগঞ্জের রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রভাত কুসুম আচার্য্য বলেন, সামাজিক বনায়নের গাছগুলো উপকারভোগী সমিতির সদস্যরা রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা। এত কম জনবল নিয়ে পুরো উপজেলার বনাঞ্চল ও সড়কের পাশের গাছ দেখভাল করা সম্ভব হচ্ছে না। উপকারভোগী সমিতির সদস্যদের নিয়ে শিগগিরই বৈঠক করে করণীয় ঠিক করা হবে।-ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়